বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

দুপুরের খাবার পাবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশঃ

২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে এক বেলা খাবার দেয়া হবে। দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পের অংশ হিসেবে পর্যায়ক্রমে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এই কর্মসূচি চালু করা হবে।

মেনু হিসেবে বিস্কুট, রান্না করা খাবার বা ডিম, কলা দেয়া হবে। এই ব্যবস্থা রেখে ‘জাতীয় স্কুল মিলনীতি-২০১৯’র খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মিড ডে মিল অনেক জায়গায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে চালু হয়েছে। এগুলোকে কিভাবে সমন্বিতভাবে সারা দেশে ছড়ানো যায় সেজন্য এই নীতিমালা। নীতিমালায় চর, হাওর এলাকা প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।

বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার সহকারী উপপরিচালক ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার সম্পৃক্ত থাকবেন।

এছাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে পার্বত্য জেলা পরিষদ ও স্থানীয় প্রশাসন কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত থাকবেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী স্কুল মিল উপদেষ্টা কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে সরকার মনোনীত উপযুক্ত ব্যক্তিরা থাকবেন। এই কমিটি কর্মপরিধি, কার্যকারিতা, অর্থায়ন ও মূল্যায়নে কাজ করবে।

প্রতিদিন স্কুল মিলের খাদ্য বৈচিত্র্য বৃদ্ধি ও খাবারের স্বাদে বৈচিত্র্য আনতে পুষ্টিচাল, ডাল, পুষ্টি তেল এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মৌসুমি তাজা সবজি এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ডিম দিয়ে করা হবে।

যাতে শিশুদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শক্তি চাহিদার ৩০ শতাংশ ক্যালরি এবং অপরিহার্য অনুপুষ্টিকণা, পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং চর্বির চাহিদা স্কুল মিল থেকে আসে। যা প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৩-১২ বছরের ছেলে ও মেয়ে শিশুদের জন্য প্রযোজ্য হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, বর্তমানে তিন উপজেলার স্কুলে রান্না করা খাবার এবং ১০৪টি উপজেলায় বিস্কুট খাওয়ানো হচ্ছে। ১০৪টির মধ্যে ৯৩টি উপজেলায় সরকার ও ১১টি উপজেলায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি অর্থায়ন করছে।

তিনি বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা দেখেছি রান্না করে খাবার দিলে ১১ শতাংশ উপস্থিতির হার বাড়ে। শুধু বিস্কুট দিলে উপস্থিতির হার বাড়ে ৬ শতাংশ। রান্না করা খাবার এলাকায় ১৬.৭ শতাংশ এবং বিস্কুট দেয়া এলাকায় ৪.৭ শতাংশ শিক্ষার্থীদের রক্তস্বল্পতা কমেছে।

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, একই বিস্কুট বাচ্চারা খেতে চায় না। খাবারের বৈচিত্র্য বিবেচনায় আমরা বিস্কুট, কলা ও ডিম রাখার চেষ্টা করছি। বৃহস্পতিবার অর্ধদিবসে শুধু বিস্কুট রাখব।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ