প্রচন্ড ক্ষুদাতে পেট ভরানোর সহজ সমাধান হোক কিংবা সময়সাপেক্ষ রান্নায় না গিয়ে কম সময়ে পেট ভরানোর কৌশল হোক, ইনস্ট্যান্ট নুডলস সব সময় কাজে দেয়। ছাত্রছাত্রী থেকে কর্মব্যস্ত মানুষ, ইনস্ট্যান্ট নুডলসের ভক্ত ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে সব বয়সীদের মধ্যেই। অনেকে তো রান্না করার ঝামেলা এড়াতে দিনের পর দিন এই খাবারেই পেট ভরান। আর তাই এই ধরনের নুডলের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।
কিন্তু জানেন কি, এই নুডলস দিয়ে পেট ভরানোর অভ্যাস আপনার শরীরে কী কী ক্ষতি করছে? অজান্তেই সে সব বিপদ ডেকে আনছেন রোজ।
পুষ্টিবিদদের মতে, সেদ্ধ করে খেলেও এই খাবারে ক্ষতির পরিমাণ যে কোনও জাঙ্ক ফুডের চেয়েও বেশি! পুষ্টিবিদরা বলেন, এই ধরনের খাবারে মূলত কোনও পুষ্টিগুণ নেই। বরং এর মধ্যে থাকা সিন্থেটিক কেমিক্যাল শরীরের মেদের আধিক্য বাড়ায়।
চিকিৎসকদের মতে, ইনস্ট্যান্ট নুডলসে থাকে সিন্থেটিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট টিবিএইচকিউ৷ যা শরীরে ০.০২-০.০৩ শতাংশের বেশি পৌঁছলে বিপদ হতে পারে। প্রতি কেজিতে ৩০০ মিলিগ্রামের আশপাশে থাকাই বাঞ্ছনীয়। কিন্তু নুডলসে এর পরিমাণ এতই বেশি থাকে, যা ধীরে ধীরে লিভারের ক্রনিক অসুখ ডেকে আনে ও হজমপ্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করে।
এই খাবার খেলে সহজেই পেট ভরে যায় বলে অনেকেই পছন্দ করেন এই খাবার। কিন্তু এতেই বিপদের আঁচ দেখছেন চিকিৎসকরা। আসলে নুডলস হজম হতে খুব সময় নেয়। তাই পেট ভার লাগে। ফলে অনেকেরই নুডলস খাওয়ার পর খিদে কমে যায়, হজমের গোলযোগ এমনকি বমিও হতে পারে।
ক্ষতিকারক মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট থাকায় এই খাবার অত্যধিক পরিমাণে খেলে লিভারের নানা সমস্যা ছাড়াও স্নায়ুর নানা সমস্যা আসতে পারে। শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল ও মেদবৃদ্ধিও এ সব ক্ষতিকারক উপাদানের কারণে ঘটে থাকে। তাই খিদে মেটাতে ইনস্ট্যান্ট নুডলসে ভরসা রাখার আগে সাবধান হোন।