ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগামী দুই মাসের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) নিতে হবে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি ডিপোজিট রাখতে হবে। এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সভায় অংশ নেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজকের বৈঠকে ইভ্যালি বা ই-কমার্স নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে ওনারা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন, আমরা নিজেরাও বসেছিলাম এবং নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে একটি প্রিসাইড প্রোগ্রাম করে যারা যারা এ জাতীয় ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত থাকবে তাদের সবাইকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। দুই মাসের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকে তাদের একটি ডিপোজিট রাখতে হবে। যাতে কোনো রকমের কিছু হলে সেই ডিপোজিট থেকে সবাইকে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) ও অন্যান্য যে ডিজিটাল মনিটরিং প্ল্যাটফর্ম ও ইন্টেলিজেন্স সংস্থাগুলো রয়েছে তাদের নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারাও এগুলো চেক করে দেখবে যাতে কেউ ফলস কিছু করতে না পারে।
‘পাশাপাশি ব্যাপক ক্যাম্পেইনের নির্দেশনা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে মানুষকে বোঝানোর জন্য ব্যাপকভাবে প্রচার চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই যে আমরা লিস্ট দিয়ে দিচ্ছি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সরকারের অথোরাইজড, সুতরাং কেউ এর বাইরে ট্রানজেকশেন করবেন না। যদি করেন সেটা আপনার নিজ দায়িত্ব। সেটার দায়িত্ব সরকার নেবে না।’ যোগ করেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব।