করোনার ছোবলে সঙ্কটে পড়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও একাদশ শ্রেণীর ভর্তির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। আগামী ৩১ মে’র মধ্যে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ ও ৭ মে থেকে অনলাইনে একাদশ শ্রেণীর ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে চায় শিক্ষা বোর্ড।
তবে অফিস না খোলা পর্যন্ত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার এইচএসসির পরীক্ষা না হলে অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তির কোন উদ্যোগ নিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কেবল তাই নয়, হঠাৎ করোনার ছোবলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ভবিষ্যত।
শিক্ষা বোর্ড ও ইউজিসির কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষার একেক স্তরের পরীক্ষা ও ফলের ওপর নির্ভর করে পরবর্তী স্তরের কার্যক্রম। ফলে একটি বন্ধ থাকলে পরবর্তী স্তরের কাজও বন্ধ হয়ে যায়। তবে করোনার কারণে বন্ধ হওয়ার আগেই যেহেতু এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ায় এখন বাকি কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির প্রধান ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেছেন, আমরা ছুটির আগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের কাজ অনেকাংশেই শেষ করেছিলাম। তবে পরিবহনবন্ধসহ বিভিন্ন কারণে ওএমআর শিট সংগ্রহ করতে পারিনি। গত কয়েকদিনে আমরা তাও হাতে পেয়েছি। এখন কাজ কেবল শিক্ষা বোর্ডেই।
অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর প্রধান পরীক্ষকরা ওএমআর শিট নিয়ে বোর্ডে আসতে পারছিলেন না। এতে ফল প্রকাশের কাজ আটকে ছিল। তবে পোস্ট অফিসগুলো খোলার পর ওএমআর শিট ডাকযোগে পাঠাতে নির্দেশ দেই। ওএমআর বোর্ডে চলে এসেছে। এগুলো স্ক্যান করার কাজ চলছে। চলতি মাসের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে পারব।
যদি তা সম্ভব হয় তাহলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহেই আমরা একাদশ শ্রেণীতে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম তা শুরু করতে পারব। আসলে এখনই হয়তো কিছুই নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে যেদিনই ফল প্রকাশ হচ্ছে তার পরের এক সপ্তাহের মাথাতেই একাদশ শ্রেণীর ভর্তি শুরু করার একটা টার্গেট আমরা নির্ধারণ করেছি।