প্রচ্ছদ পুঁজিবাজার কঠোর লকডাউনে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে

কঠোর লকডাউনে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ থাকবে

0
ডিএসই

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রন করতে ১৪ এপ্রিল বুধবার থেকে শুরু এক সপ্তাহের লকডাউনের ব্যাংক বন্ধ থাকায় পুঁজিবাজারেও লেনদেন হবে না।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, পুঁজিবাজারে লেনদেন সম্পন্ন করতে হলে ব্যাংক খোলা থাকা দরকার। যেহেতেু ব্যাংক বন্ধ থাকবে, তাই দেশের পুঁজিবাজারেও লেনদেন হবে না।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত চলাচল সীমিত করতে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার কথা জানানো হয়।
এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক লকডাউনের সময়ে ব্যাংক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিও পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ রাখার কথা জানায়।
চলমান লকডাউনের মধ্যে ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পুঁজিবাজারে ১০-১২টা লেনদেন হচ্ছিল।
পরে সোম ও মঙ্গলবার ব্যাংকের সময় বাড়ানো হলে এর সঙ্গে সমন্বয় রেখে আরো আধা ঘন্টা বাড়ানো হয় পুঁজিবাজারের লেনদেনের সময়।
এখন ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুঁজিবাজারও বন্ধ হয়ে গেল।
সাধারণ সময়ে সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দেশের দুই পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়।
বুধবার থেকে শুরু আগামী সপ্তাহের লকডাউনে সব ধরনের অফিস ও পরিবহন চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বাজার-মার্কেট, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
এই সময় সব সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত অফিস এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলা হলেও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শিল্প কারখানা চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
লকডাউনের মধ্যে শপিংমল বন্ধ থাকবে; কাঁচাবাজারে কেনাবেচা হবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। হোটেল-রেস্তোরাঁ নির্দিষ্ট সময় শুধু খাবার বিক্রি, সরবরাহ করতে পারবে।
এই সময় অতি জরুরি দরকার ছাড়া ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা নিতে যাওয়া যাবে।

শেয়ার করুনঃ

কোন মন্তব্য নেই

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version