হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে করোনার নমুনা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নেগেটিভ সনদ নিয়ে ৫০ হাজারের বেশি যাত্রী সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) পৌছেছেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে বিমানবন্দরে স্থাপিত ল্যাবরেটরিতে ফ্লাইট ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। নমুনা সংগ্রহ ও প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে করোনার পজিটিভ বা নেগেটিভ সনদ দেওয়া হয়। করোনা পজিটিভ হলে যাত্রা বাতিল ও নেগেটিভ হলে সনদ নিয়ে যাত্রীরা ইউইএতে পৌঁছান।
২৯ সেপ্টেম্বর থেকে আজ (২৪ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত বিমানবন্দরের ছয় ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ইউইএ গেছেন মোট ৫০ হাজার ৫৬ জন। তাদের বাইরে মাত্র ৩০ জন করোনা পজিটিভ রিপোর্টের কারণে নির্দিষ্ট ফ্লাইটে যেতে পারেননি। তবে তাদের অনেকেই পরে নেগেটিভ সনদ নিয়ে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন : একাধিক ফ্লাইট থাকায় শাহজালালে করোনা পরীক্ষায় বিড়ম্বনা
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দুই হাজার ৩২১ জন ইউইএতে যান। এর বাইরে মাত্র একজন যাত্রী পজিটিভ রিপোর্টের কারণে যেতে পারেননি।
শাহজালাল বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিফপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাাজ্জাদ জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১ নম্বর টার্মিনালের পাশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনপ্রাপ্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠানের স্থাপিত আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা শুরু হয়। ইউএই সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ইউএইগামী যাত্রীদের ৪৮ ঘণ্টা আগে একবার ও ফ্লাইট ছাড়ার ছয় ঘণ্টা আগে আরেকবার পৃথক ১০টি বুথের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার শেষে রিপোর্ট প্রদান করা হয়। এরই মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৫০ হাজার ৫৬ জন ইউএইএ গেছেন। যাত্রীদের অধিকাংশই প্রবাসী কর্মী। তাদের নমুনা পরীক্ষার খরচ বহন করছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
তিনি বলে, শুরুরদিকে সার্বিক প্রস্তুতিতে কিছুটা ঘাটতি ছিল। যাত্রীদের ফ্লাইটের ৮-১০ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য উপস্থিত হওয়াসহ নানা কারণে কাজ অগোছালো হলেও বর্তমানে নমুনা পরীক্ষা ও রিপোর্ট প্রদান কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এগিয়ে চলেছে।
বর্তমানে বিমানবন্দরে যে ছয়টি প্রতিষ্ঠানে করোনার নমুনা পরীক্ষা চলছে সেগুলো হলো- স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড এবং ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।