‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০২২’ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাতীয় সংসদে প্রতিবেদন জমা দিতে তৃতীয় মেয়াদে আরও ৯০ দিন সময় নিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সংসদে উত্থাপনের পর প্রস্তাবিত আইনটি নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে না পারায় রোববার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আবারও সময় চাওয়া হয়।
এদিন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০২২’ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তৃতীয়বারের মতো আরও ৯০ দিন সময় চান। এসময় অধিবেশনের সভাপতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রস্তাবটি ভোটে দিলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। ফলে মোট চার মেয়াদে ২৭০ দিন অর্থাৎ ৯ মাস সময় পেলো সংসদীয় কমিটি।
এর আগে গত বছরের (২০২২) ২৮ মার্চ মাত্র এক মাসের নোটিশে বা এক মাসের মূল বেতন পরিশোধ করে চাকরিচ্যুত করা যাবে এবং ন্যূনতম বেতন হারের কম বেতন দিলে এক বছর থেকে পাঁচ বছরের জেলের বিধান রেখে বহুল আলোচিত ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০২২’ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়। এরপর বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। তখন বিলটি পরীক্ষার জন্য ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল।
এরপর কমিটি গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ৬ জুন প্রথম মেয়াদে ৬০ দিন সময় বাড়িয়ে নেয়। পরবর্তীকালে গত বছরের ৩০ আগস্ট দ্বিতীয় মেয়াদে আরও ৬০ দিন সময় চাইলে সংসদ সেবারও তাতে অনুমোদন দেয়।
সবশেষ রোববার (৮ জানুয়ারি) বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আরও ৯০ দিন সময় চায় সংসদীয় কমিটি। পরে স্পিকার তা ভোটে দিলে ‘হ্যাঁ’ সূচক ভোটে তা পাস হয়।
প্রস্তাবিত ‘গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) বিল-২০২২’কে বৈষম্যমূলক ও এতে গণমাধ্যমকর্মীদের চাকরির সুরক্ষা, সংশ্লিষ্ট সুবিধাদি ও অধিকার নিশ্চিত করা হয়নি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এমনকি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এ বিলের বিরোধিতা করে বিবৃতি দেয়।
গণমাধ্যমের বিলে বলা হয়েছে, সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। কোনো গণমাধ্যমকর্মী আদালতে মিথ্যা বিবৃতি দিলে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের জেল হবে। গণমাধ্যম মালিক মিথ্যা বিবৃতি দিলে অনূর্ধ্ব পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা তিন মাসের কারাদণ্ড হবে।
গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন পরিশোধ, ছুটি নির্ধারণ এবং দাবি নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনে পৃথক আদালত গঠন করা যাবে বলেও বিলে উল্লেখ করা হয়।