ব্রাজিলে করোনাভাইরাসে ফের সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ভাইরাসটিতে নতুন করে ১ হাজার ৩৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটির ৭৪ হাজার ২৬২ জন মানুষের প্রাণ নিল করোনা। শনাক্ত হয়েছে আরও ৪৩ হাজারের বেশি। ফলে, আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৩১ হাজার ২০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। তবে, সুস্থ হয়েছেন অর্ধেকের বেশি রোগী।
শুধু ব্রাজিলই নয়, গোটা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোও করোনার ভয়াবহতা দেখছে। ঘটছে প্রতিদিনই রেকর্ড সংক্রমণ। এতে করে করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে, এমন অবস্থার মধ্যদিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্র ব্রাজিল। যা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যার ভয়াবহতার শিকার পেরু, চিলি ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলো। যার প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত দুই লাখ ছাড়িয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে করুণ অবস্থা পেরুতে। দেশটিতে আক্রান্ত ৩ লাখ ৩৪ হাজারের কাছাকাছি। যেখানে মৃত্যু হয়েছে সাড়ে ১২ হাজার ২২৯ জন মানুষের।
এ অঞ্চলের আরেক ভুক্তভোগী চিলিতেও সংক্রমণ ৩ লাখ ১৯ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৬৯ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।