সোনালী ব্যাংকের সিইও এন্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোঃ আতাউর রহমান প্রধান বলেছেন গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করেই মুজিব বর্ষে শীর্ষে পৌছবে সোনালী ব্যাংক। চলতি বছর শেষে সোনালী ব্যাংক এর শ্রেনীকৃত ঋণ এক অংকের কোঠায় নেমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকার পরেও স্বাধীনতার পর দেশের শিল্প ও কৃষিখাতের উন্নয়নের পিছনে সোনালী ব্যাংকের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশেষ করে সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সোনালী ব্যাংক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা প্রদান করে আসছে। সরকারের ৩৭ ধরনের ভাতা সোনালী ব্যাংক কোন ধরনের ফি ছাড়াই প্রদান করছে। অল্প সংখ্যক জনবল, অধিক শাখায় কাজ করার কারনে সেবার মানে সরকারি ব্যাংক বেসরকারি ব্যাংকের তুলনায় পিছিয়ে থাকার কারন বলে তিনি উল্লেখ করেন। আগামী দিনগুলোতে নতুন নিয়োগের মাধ্যমে এই সংকট দুর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। ব্যাংক বেশি লাভ করার চেয়ে সেবার মানটাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করবে আগামী দিনগুলোতে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন দেশের মানুষকে মাত্র ১০ টাকায় একাউন্ট খোলা হয় সরকারি ব্যাংকে যার মাধ্যমে দেশের আপামর জনসাধারনকে ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় আনার ক্ষেত্রে বিরাট ভুমিকা রয়েছে এ ব্যাংকগুলোর।
খেলাপি ঋণ আদায় নিয়ে তিনি বলেন গত বছর সোনালী ব্যাংক তিন হাজার কোটি টাকা খেলাপী ঋণ আদায় করেছেন। বিগত বছরে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট নিয়ে ঋণ নিয়মিত করা হয়েছে ২৬০০ কোটি টাকা। সরকারের এই সিদ্ধান্তে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া গেছে। আতাউর রহমান প্রধান বলেন শেয়ার বাজার চাঙ্গা রাখতে সোনালী ব্যাংক আপ্রান চেষ্টা করছে। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও তিনি গতবছর সোনালী ব্যাংকের ১৭৩০ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফাকে বিশেষ অর্জন বলে তিনি মনে করেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে সোনালী ব্যাংকের এমডি বলেন পদ্মা ব্যাংকে তার ব্যাংকের বিনিয়োগ দেশের ব্যাংক খাতকে সুরক্ষারই অংশ। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চীনের সাথে আমাদের দেশের ব্যাবসায় প্রভাব পরবে বলে তিনি মনে করেন। সোনালী ব্যাংকের ১২২৪ টি শাখাই অনলাইনের আওতায় আসায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা প্রদান সহজতর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মতবিনিময় সভায় সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরবৃন্দ, জেনারেল ম্যানেজারগন উপস্থিত ছিলেন।