বাংলাদেশের গর্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষের মিলনমেলা শুরু আজ শনিবার। বহুল প্রতীক্ষিত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
শনিবার (১২ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মিলনমেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবীণতম শিক্ষার্থী মতিউল ইসলাম। এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ, মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়সহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইতোমধ্যে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। এতে ১০ হাজারের বেশি সদস্য অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া বিশ্বের ২৫টি দেশের অ্যালামনাই অনুষ্ঠানে যুক্ত হবেন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।
শতবর্ষের মিলনমেলা উপলক্ষে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মোড়ক উন্মোচন ও ঢাবির ১০০ শিল্পীর ১০০ ছবিতে চিত্রপ্রদর্শনী উদ্বোধন হবে। এরপর সম্মানিত অতিথিরা বক্তব্য রাখবেন। দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে ‘বাংলাদেশের পদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান পালিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
তারপর বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাবির ১০০ গুণীজনকে মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হবে। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন একক সংগীত পরিবেশনা করবেন।
এর আগে মিলন মেলা উপলক্ষে করা এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, শতবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে পৌঁছানোর কথা ছিল সেখানে আসতে পারেনি। আমরা দেখেছি বিশ্বের ১০০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিংয়ে আমাদের ঢাবি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ র্যাংকিংয়ের ভেতরে আনতে আমাদের সংগঠন কাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাড়লেও সেগুলোর ধারণক্ষমতা ও সক্ষমতা বাড়েনি। তাছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০-৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী অর্থাভাবে যথাযথভাবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে না। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন তাদের জন্য কাজ করবে।
তিনি বলেন, আমরা বছরে সাড়ে তিন কোটি থেকে চার কোটি টাকা বৃত্তি প্রদান করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চের জন্য যে বাজেট প্রয়োজন সে পরিমাণ বাজেট সরকার থেকে আসছে না। আমরা সেখানে অনুদান দিতে চাই।