বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে গেছে। গত রাত ১২টা থেকে ধর্মঘট শুরু হয়। তবে বন্দরের এনসিটি, সিসিটি ও জিসিবিসহ মূল জেটিতে কনটেইনার ও কার্গো হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক রয়েছে।
চট্টগ্রামে ফেডারেশনভুক্ত প্রায় ৩ হাজার নৌযান রয়েছে, যাদের অধিকাংশই ধর্মঘটে সমর্থন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
ধর্মঘটের বিষয়ে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ভারতগামী শ্রমিককে ল্যান্ডিং পাস প্রদান, সব নৌযান শ্রমিককে মাসে ৪ হাজার টাকা খাদ্য ভাতা, সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ, কর্মস্থলে ও দুর্ঘটনায় মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ, মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান, নদীর নাব্য রক্ষা ও প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন, বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ করা, ২০১৬ সালের গেজেট অনুযায়ী কেরানি, কেবিন বয়, ইলেকট্রিশিয়ানসহ সব নৌশ্রমিকদের বেতন প্রদানের দাবিতেই নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের এই ধর্মঘট।
এদিকে আমদানির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, বেশিরভাগ খোলা ভোগ্যপণ্য ও সিমেন্ট, চিনি, ভোজ্যতেল, কয়লা, পাথর ইত্যাদি বড় জাহাজে বন্দরের বহির্নোঙরে (সাগরে) আসে। ছোট ছোট জাহাজে এসব পণ্য নামিয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ নৌপথে বিভিন্ন শিল্পকারখানা, নদীবন্দর ও ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ধর্মঘটে এসব কাজ ব্যাহত হবে। ফলে পণ্যসামগ্রীর দাম বাড়তে পারে।