কেনাকাটার পর ইএফডি মেশিনের মাধ্যমে সরকারের কোষাগারে রাজস্ব জমা দিলে ভোক্তারাও পাবেন পুরস্কার। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে ইএফডি মেশিন স্থাপন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্থার চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এ কথা জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালভাবে যুক্ত ছিলেন কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অব বাংলাদেশ মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ।
ভ্যাট আদায় ও তা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়ার অনিয়ম বন্ধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর শপিংমল, দোকানপাট, রেস্টুরেন্টে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস-ইএফডি মেশিন বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০০টি মেশিন ঢাকা ও চট্টগ্রামের বড় বিপণিবিতানে বসানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আগামী তিন মাসের মধ্যে এক হাজার ইএফডি মেশিন বসানো হবে।
ইএফডি মেশিন সম্পর্কে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভ্যাটের অনিয়ম বন্ধ করতেই ইএফডি চালু করা হচ্ছে। ইএফডি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। এর ফলে কথিত হয়রানি দূর হবে ও রাজস্ব আহরণের ব্যয় ও ব্যবসায়িক খরচ কমবে। কর পরিহারের সুযোগ থাকবে না। রাজস্ব আদায়ে গতি আশার পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অটোমেশনের আওতায় আসবে। ভ্যাটদাতাদের পুরস্কৃত করার বিষয়টি উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভোক্তার ফোন নম্বর এনবিআরের সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে। নির্দিষ্ট সময় শেষে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত ভোক্তাকে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের উল্লেখযোগ্য সাড়া না পাওয়া গেলেও পুঁজিবাজারে এর প্রভাব পড়ছে। পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ফলে ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে। তবে রিটার্নের ক্ষেত্রে তেমন সাড়া পড়েনি। আয়কর রিটার্ন এলে বোঝা যাবে কী পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ হয়েছে। করোনায় অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে, রাজস্ব ঘাটতি বাড়বে, সে ঘাটতি কীভাবে পূরণ হবে- এমন প্রশ্নে চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সাধারণভাবে রাজস্ব আহরণের চেষ্টা করছি। তবে কাউকে হয়রানি করে নয়। আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি বকেয়া ও মামলা থেকে রাজস্ব আহরণের।