প্রচ্ছদ কর্পোরেট সংবাদ পাওয়ারপ্যাক ইকোনোমিক জোন (প্রা.) লি. এবং বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লি. (বিআইসিএল) এর...

পাওয়ারপ্যাক ইকোনোমিক জোন (প্রা.) লি. এবং বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লি. (বিআইসিএল) এর মধ্যে ভূমি লিজ চুক্তি স্বাক্ষর

0

শিকদার গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক ইকোনোমিক জোন (প্রাইভেট) লিমিটেড এবং বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেড (বিআইসিএল)-এর মধ্যে রোববার (জুন ২৭) একটি ভূমি লিজ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। হোটেল প্যান পেসিফিক সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর চেয়ারম্যান জনাব পবন চৌধুরী এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব সায়েম সোবহান আনভীর এবং পাওয়ারপ্যাক ইকোনোমিক জোন (প্রাইভেট) লিমিটেডের গ্রুপ ডিরেক্টর জনাব জন হক শিকদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তিতে সই করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উভয় প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বিআইসিএল তাদের নিজেদের প্রয়োজন মিটাবার জন্য ব্যাগ উৎপাদন কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে এ চুক্তির আওতায় মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে ১৬ একর জমি নিচ্ছে। এ কারখানা কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে বড় ভূমিকা পালন করবে।

পাওয়ারপ্যাক ইকোনোমিক জোন (প্রাইভেট) লিমিটেড দেশের প্রথম কোম্পানি যাকে ডিজাইন, বিল্ড, ফাইনান্স, ওয়োন, অপারেট ও ট্রান্সফার (নকশা, নির্মাণ, অর্থায়ন, মালিকানা গ্রহণ, পরিচালনা ও হস্তান্তর)-ভিত্তিতে অর্থনেতিক অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য ৫০ বছরের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। বেজার সহায়তায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) মডেলে ২০৫ একর জমিতে মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হয়েছে।

কৌশলগত অবস্থানের কারণে মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল বাংলাদেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অর্থনৈতিক অঞ্চল। এটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মংলা বন্দরের মাত্র এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। প্রস্তাবিত খান জাহান আলী বিমানবন্দর হচ্ছে এ অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে।

পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে সড়ক ও রেলের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগ সময়ের বিবেচনায় সবচেয়ে সহজ হবে। যোগাযোগের এ সুবিধা মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল ও মংলা বন্দরের চাহিদা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বসুন্ধরা গ্রুপ তার প্রথম প্রতিষ্ঠান ইস্ট-ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট (প্রা.) লি. অধীনে ১৯৮৭ সালে বসুন্ধরা হিসাবে পরিচিত রিয়েল এস্টেট কার্যক্রম শুরু করে। বসুন্ধরা ইতোমধ্যে দেশের বৃহত্তম শিল্প গ্রুপ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে এবং বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ে নেতৃত্বের স্থানে আসীন হয়েছে।

মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল শিল্প-কারখানা স্থাপনের জন্য এখন সম্পূর্ণ প্রস্তত। এখন এখানে বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ চলছে। এ অঞ্চলটি কাস্টম্স বন্ডেড এলাকা হিসাবে বিবেচিত হয় এবং বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এখানে আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

মংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্মাণাধীন অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে প্রবেশ প্লাজা, উপাসনালয়, বাণিজ্যিক ব্যাংক, বীমা কোম্পানি, প্রশাসন ভবন, অগ্নিনির্বাপন কেন্দ্র, গেস্ট হাউজ, বিনিয়োগকারীদের ক্লাব, সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট, ডরমিটরি, দোকান-পাট, ওয়্যারহাউজ, কাস্টম্স, কেন্দ্রীয় বর্জ্যশোধনাগার এবং নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ। অর্থনৈতিক অঞ্চলটিকে পরিবেশ-বান্ধব হিসাবে গড়ে তোলার জন্য এখানকার মোট ভূমির ৩০ শতাংশ সবুজ বা উন্মুক্ত স্থান হিসাবে রাখা হয়েছে।

বসুন্ধরা গ্রুপসহ বহু সংখ্যক স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারী এ অর্থনৈতিক অঞ্চলে তাদের শিল্প-কারখানা স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছে। কৌশলগত অবস্থান ও ভবিষ্যত বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বিবেচনায় এখানে বিনিয়োগে আগ্রহী সকল স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীকে পাওয়ারপ্যাক ইকোনোমি জোন (প্রাইভেট) লিমিটেড স্বাগত জানায়।

শেয়ার করুনঃ

কোন মন্তব্য নেই

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version