গতকাল (বুধবার) সকালে শিমুলিয়া ঘাটে দেখা যায়, শত শত যাত্রী দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঢাকায় যাচ্ছেন। এসব যাত্রীর অধিকাংশই গার্মেন্টকর্মী। তারা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিকল্প যানবাহনে করে কাঁঠালবাড়িঘাটে আসছেন।
সেখান থেকে ফেরিতে করে শত শত যাত্রী পদ্মা পাড়ি দিয়ে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়াঘাটে আসছেন। করোনাভাইরাসের কারণে যাত্রীবাহী পরিবহন বা বাস বন্ধ থাকায় এসব যাত্রী বিকল্প যানবাহনে ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গন্তবে ছুটছেন।
এসব যানবাহনের মধ্যে রয়েছে আটোরিকশা, উবার, পাঠাও, ইয়েলো ক্যাব, রেন্ট-এ-কার, মাইক্রোবাস ও পিকআপভ্যানসহ নানা ধরনের যানবাহন। মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, সকাল থেকেই ফেরিতে করে শত শত মানুষ আসছে শিমুলিয়া ঘাটে। তাদের অধিকাংশই গার্মেন্টকর্মী।
এখান থেকে বিকল্প যানবাহনে তারা গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। তিনি আরও জানান, বর্তমানে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে দিনের বেলায় ছয়টি ফেরি চলাচল করেছে। গতকাল দুপুর ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সরেজমিনে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে দেখা যায়, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও ফেরিতে পাড়ি দিচ্ছে হাজারও মানুষ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা তেমন নেই।
বুধবার সকাল থেকে ঘাটে চলমান ১৭টি ফেরির মধ্য দুটি রোরো, দুটি ডাম্ব, দুটি কে ধরন ও একটি মধ্যম ফেরির মাধ্যমে যাত্রী ও যানবাহন পার করা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি কাঁঠালবাড়ি ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সামসুল আরেফিন বলেন, সকাল থেকেই রাজধানীমুখী যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। বুধবার সাতটি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পার করানো হয়।