এ ঋতুতে কম-বেশি সব শিশুই জ্বর-ঠান্ডা-কাশিতে ভুগছে। সাধারণ এসব লক্ষণ হতে পারে নিউমোনিয়ার কারণ। যদিও শীতকালে নিউমোনিয়া বেড়ে যায়; তবে গরমে বিভিন্ন কারণে শিশুর সাধারণ সর্দি-কাশির সমস্যা ইঙ্গিত দিতে পারে নিউমোনিয়ার। তাই গরমেও সাবধান থাকা জরুরি।
বিশ্বে শিশুদের সবচেয়ে বড় মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিবেচিত নিউমোনিয়া। নিউমোনিয়ার কারণে প্রতি ৩৯ সেকেন্ডে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। নিউমোনিয়ার ফলে ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটে। এটি ফুসফুসের এক বা উভয় অংশকেই প্রভাবিত করতে পারে।
শিশুর নিউমোনিয়া হওয়ার কারণ বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন- ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং পরজীবী। শিশুদের নিউমোনিয়ার কারণ বয়স অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে।
ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। নিউমোনিয়ার লক্ষণ হিসেবে জ্বর, দুর্বলতা ও ক্লান্তি, দ্রুতগতিতে শ্বাস নেওয়া, শ্বাসের সঙ্গে শব্দ হওয়া, ঝিমুনি ভাব ইত্যাদি হতে পারে।
নিউমোনিয়া প্রতিরোধে করণীয় :
> শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে স্তন্যপান করাতে হবে।
> ঘরে যাতে বায়ু চলাচল করে; সে ব্যবস্থা করতে হবে।
> সর্দি, ফ্লু বা অন্যান্য সংক্রমণ আছে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে শিশুকে দূরে রাখতে হবে।
> সময়মতো শিশুকে টিকা দিতে হবে।
> শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দিতে হবে।
> সময়মতো শিশুকে ওষুধ খাওয়াতে হবে।
> শিশুর তাপমাত্রা প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় দেখে নিতে হবে।
> তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশি হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।