সৌদি আরবে প্রবাসীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অব্যাহত রাখায় দেশটির পুলিশের হাতে আটক হয়ে প্রায় প্রতিদিনিই শত-শত কর্মী শূন্য হাতে দেশে ফেরত আসছে।
সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে দেশে ফিরেছেন ৭৫ বাংলাদেশি কর্মী। এ নিয়ে গত তিন দিনে সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন ৩৩২ জন। চলতি বছর সৌদি আরব থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে।
ইকামার (কাজের বৈধ অনুমতিপত্র) মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া এবং কফিল (নিয়োগকর্তা) পরিবর্তনের কারণেই মূলত বাংলাদেশি কর্মীরা আটক হচ্ছেন সৌদি আরবে। শুক্রবার রাতে ফেরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাসুম মিয়ার অভিযোগ, তাঁর ইকামার মেয়াদ আরও আট মাস বাকি আছে। রাস্তা থেকে আটক করে পুলিশ দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। তাঁর অপরাধ কী তিনি জানেন না।
ফেনীর মিজবাহ উদ্দিন, গাইবান্ধার মাহাবুব, মৌলভী বাজারের মো. জুয়েলসহ আরও অনেকেই সৌদি আরবে যাওয়ার সাত মাসের মধ্যেই ফিরে এসেছেন। তাঁরা সবাই গড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকা খরচ করে সেখানে যান।
ওয়েজ আর্নাস কল্যাণ বোর্ড সূত্র জানায়, এক কাপড়ে ফিরে আসা কর্মীরা নানা কারণে অবৈধ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের ট্রাভেল পাস (ভ্রমণের বৈধ অনুমতিপত্র) দিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়। সৌদি আরবের বাংলাদেশ এক কর্মকর্তা জানান, সৌদিতে আসা কর্মীদের কফিল বা কাজ পরিবর্তনের সুযোগ নেই। যে কাজ নিয়ে তাঁরা আসেন, এর বাইরে কিছু করার আইনগত অধিকার নেই তাঁদের। তাই বৈধভাবে আসার পরও অনেকে কাজ পরিবর্তন করার দায়ে অবৈধ হয়ে পড়েন।