প্রত্যেক মানুষেরই রক্ত পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। কেননা এ রক্ত পরীক্ষার প্রধান উদ্দেশ্যই হলো, ভবিষ্যতে কোন বিপদ থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া। বহু মানুষের ব্লাড গ্রুপ এ, বি, ও পজিটিভ এবং ও নেগেটিভ ইত্যাদি হয়। তাই আগে থেকেই রক্ত পরীক্ষা করিয়ে দেখা উচিত কার রক্তের গ্রুপ কী। এ ছাড়া ভবিষ্যতে যদি কোনো অসুখে বা দুর্ঘটনায় হঠাৎ করে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তা হলে ব্লাড গ্রুপ জানা থাকলে বাড়ির মানুষের খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না।
টিসি. ডিসি, ইএসআর, কোলেস্টেরল, আরএইচ ফ্যাক্টর, এইচআইভি, আয়রন লেভেল ইত্যাদি কিছু রুটিন পরীক্ষা ছেলে, মেয়ে উভয়েরই করানো উচিত। তা হলে প্রথম থেকেই একটা মেডিক্যাল হিস্ট্রি থাকবে। এ ছাড়াও থাইরয়েড, সুগার, থ্যালাসেমিয়া, এসটিডি, হেপাটাইটিস বা টিউবারকিউলোসিসের মতো সমস্যা রয়েছে কিনা, তা জানার জন্য রক্ত পরীক্ষা আবশ্যক।
যদি কেউ থ্যালাসেমিয়ার ক্যারিয়ার বা বাহন হন, তা হলে সে কী ধরনের জীবনসঙ্গী খুঁজবে এবং ভবিষ্যতে সন্তান জন্মালে সে কতটা সুস্থ হবে, সে সম্পর্কে আগে থেকে চিকিৎসকের গাইডলাইন থাকলে ভালো হয়। সর্বোপরি অনেকেই হয়তো বংশানুক্রমিক (হেমোফিলিয়া, থ্যালাসেমিয়া, জেনেটিক ব্যাধি) কোনো রোগে আক্রান্ত।
তাই কোনো দ্বিধা না করে রক্ত পরীক্ষা সহ প্রয়োজনীয় চেকআপ করে নিন। ডায়াবেটিস বংশগত কারণে অনেক কম বয়সে দেখা দিতে পারে। ডায়াবেটিস সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে কম বয়সে যে কেউ হার্ট বা কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। সামান্য ব্লাড সুগার টেস্টে রোগটি ধরা পড়তে পারে।