এখনে থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এনআইডি পেতে বাংলাদেশে আসতে হবে না । বিদেশে বসেই জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। এ লক্ষ্যে প্রথম ধাপে ভোটার হবেন সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশি প্রবাসীরা। ইসি সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে সিঙ্গাপুরে ভোটার কার্যক্রম শুরু করার পর দ্বিতীয় ধাপে যুক্তরাজ্যের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করা হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, দুই প্রক্রিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার করে নেওয়া হবে। প্রথম প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে একটি আলাদা সার্ভার বসাবে নির্বাচন কমিশন। যে সার্ভারটি ইসির ওয়েব সাইটে আলাদা লিংকের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকবে। প্রবাসী নাগরিকরা প্রবাসে বসেই সেই লিংকে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় সব কাগজ পত্রাদি আপলোড করে এবং ফরম পূরণ করে আবেদন সম্পন্ন করবেন। সেই আবেদনটিতে দেওয়া তথ্যাদি তদন্ত করার জন্য আবেদনকারীর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হবে। তদন্তে ইতিবাচক প্রতিবেদন এলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হবে। এরপর দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশেই বসানো হবে ইসির নিবন্ধন কেন্দ্র। যেখান থেকেই বিতরণ করা হবে স্মার্টকার্ড বা এনআইডি।
দ্বিতীয় প্রক্রিয়ায় প্রবাসীদের ভোটার করে নেওয়া বলতে অফলাইনে আবেদনের বিষয়টি বোঝানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অনলাইনের আবেদন সংগ্রহের পর প্রবাসে যখন নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করে নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে, নির্বাচন কমিশন তখন সংশ্লিষ্ট নাগরিককে ওই কেন্দ্রে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজ ও দলিলাদি সরবরাহ করতে হবে।
এ প্রক্রিয়ায় গেলে একটু বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে। কেননা, অনলাইনে আবেদন সংগ্রহ করার পর নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করতে কিছুটা সময় লেগে যাবে। এছাড়া অফলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার পর সেই আবেদন দেশে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হবে। তাদের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এনআইডি ছাপানো হবে। এরপর আবার সংশ্লিষ্ট দেশে বিতরণ করা হবে। অর্থাৎ একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) আবদুল বাতেন বলেন, সিঙ্গাপুর প্রবাসীদেরই আমরা প্রথমে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশি নাগরিকরা চলতি মাসের শেষের দিকেই অনলাইনে আবেদন করে ভোটার হওয়ার সুযোগ পাবেন। আমরা এ জন্য আলাদা সার্ভারও করব। পরবর্তী সময় ধাপে ধাপে অন্যান্য দেশে এ কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হবে।
জানা গেছে, ৩ থেকে ৯ মার্চ ইসির একটি উচ্চ পর্যায়ের টিম সিঙ্গাপুর ঘুরে এসে কার্যক্রম হাতে নেওয়ার জন্য বেশকিছু সুপারিশ করেছে। আর সে ভিত্তিতেই কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।