ভারতের গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩ হাজার ৮৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আর ২ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ২৯৮ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৭৩ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩। ভারতে মোট মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৮৪৭ জনের।
একদিন আগেই আক্রান্তে সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৮ হাজার। একই সময়ের মধ্যে মারা গেছে ৪ হাজার ১৫৭ জন। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও মৃত্যু সামান্য কমেছে।
তবে ভারতে নতুন করে যত মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে, তার থেকে বেশি প্রতিদিন সুস্থ হয়ে উঠছেন। এর ফলে কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী কমেছে ৭৫ হাজার ৬৮৪ জন। এই মুহূর্তে ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ২৪ লাখ ১৯ হাজার ৯০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে সাড়ে ২১ লাখের বেশি। সংক্রমণের হারও রয়েছে ১০ শতাংশের নিচে।
করোনা সংক্রমণে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু এবং উত্তরপ্রদেশ। দেশের অধিকাংশ রাজ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, ঝাড়খণ্ড, বিহার, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে আক্রান্ত কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।
ভারতে ইতোমধ্যেই ২০ কোটির বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের পরে সবচেয়ে বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছে ভারত। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী ১ কোটি ৩৮ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ঝাড়খন্ড, ছত্তীসগড়, তামিলনাড়ুতে সবচয়ে বেশি ভ্যাকসিনের ডোজ নষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে ফাইজারের কাছ থেকে চলতি বছর ভারত ৫ কোটির বেশি ভ্যাকসিনের ডোজ পাবে বলে জানা গেছে।
এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয় এবং ব্রাজিল তৃতীয়।
পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ কোটি ৯০ লাখ ৭১ হাজার ১৮৭। এর মধ্যে মারা গেছে ৩৫ লাখ ১২ হাজার ২৩ জন। তবে ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১৫ কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৮৭৭ জন।