যুক্তরাজ্যের ইটন কলেজ এবার শিক্ষার্থীদের ‘বিরক্তিকর ও মান্ধাতার আমলের’ নোকিয়া ফোন ব্যবহার করতে বাধ্য করতে যাচ্ছে ।
সম্প্রতি ‘স্কুল ডে’-তে শিক্ষার্থীদের জন্য স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চালু করেছে যুক্তরাজ্যের অনেক জেলাভিত্তিক স্কুল। সেই ধারাবাহিকতাকে দেশটির এই বোর্ডিং স্কুল আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে বা “বলা ভাল এক ধাপ পিছিয়েছে” বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি, ইয়ান ফ্লেমিং, টম হিডলস্টনের মতো বিখ্যাত সব সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ঐতিহাসিক ও অভিজাত ব্রিটিশ বোর্ডিং স্কুল ‘ইটন কলেজ’। বোর্ডিং স্কুলটি সেপ্টেম্বর থেকে নিজেদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন ‘মোবাইল ফোন নীতি’ চালু করেছে।
শিক্ষার্থীদেরকে নিজেদের স্মার্টফোন বাসায় রেখে আসতে বলেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ সময় শিক্ষার্থীদের একটি সিম কার্ড স্কুলে নিয়ে আসতে হবে এবং নোকিয়া সেল ফোনে একটি সাধারণ নম্বর প্যাড থাকবে, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কেবল ফোন কল ও টেক্সটের মাধ্যমে বার্তা পাঠাতে পারবে।
ব্রিটিশ বোর্ডিং স্কুলের এই নীতি সরাসরি যুক্তরাজ্য সরকারের নির্দেশিকার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। ওই নির্দেশনা স্কুলের অধ্যক্ষদের শিক্ষার্থীদের উপর স্মার্টফোন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার অনুমতি দিয়েছে।
এদিকে স্মার্টফোনে নিষেধাজ্ঞার মতো নির্দেশিকা আমেরিকান বিভিন্ন জেলাভিত্তিক স্কুলও মানতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সফটওয়্যার কোম্পানি ‘গভস্পেন্ড’-এর তথ্য অনুসারে, দেশটির ৪১টি অঙ্গরাজ্যে কমপক্ষে একটি জেলা স্কুল রয়েছে, যেটি স্কুলে ঢোকার সময় শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোনকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে যাওয়ার নিয়ম চালু করেছে।
‘লস অ্যাঞ্জেলেস ইউনিফাইড স্কুল ডিস্ট্রিক্ট’ জুন মাসে শিক্ষার্থীদের ফোন ব্যবহারে জেলাব্যাপী নিষেধাজ্ঞা আইন পাস করে, যেখানে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসমকে রাজ্য পর্যায়ে একই রকম আইন করার আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে নিউ ইয়র্ক সিটি’র পাবলিক স্কুলের চ্যান্সেলর ডেভিড ব্যাঙ্কস বলেছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্কুলে ফোন নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল দুটি নতুন বিল পাস করতে অঙ্গরাজ্যের আইনসভার সঙ্গে কাজ করছেন, যেখানে শিক্ষার্থীদের কেবল ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নেই এমন ফোন রাখার অনুমতি দেবে।