দেশের একক বৃহত্তম প্রকল্প রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। দ্রুত এগিয়ে চলেছে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া। রূপপুর প্রকল্প দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য মাইলফলক। সময়মতো নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০২৩ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু কবে। উদ্বোধনের পর থেকে এ প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
কিছু কিছূ ক্ষেত্রে দেখা গেছে ৩ বছরের কাজ মাত্র এক বছরেই শেষ করা হয়েছে। এরমধ্যে একটি হলো রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য আবাসন ভরন। এ ভবন নির্মাণের কাজ অকল্পনীয় সময়ের মধ্যে শেষ করা হয়েছে। প্রতি ফ্লোর ২০ হাজার স্কয়ার ফিটের ৬ ইউনিটের তিনটি ২০ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে মাত্র একবছরে।
ভবন নির্মাণ বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরণের একেকটি ভবন নির্মাণ করেতে কম করে হলেও তিনবছর সময় লাগে।
তবে ভবনগুলো দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার অন্যতম কারণ হচ্ছে জরিমানা থেকে রক্ষা পাওয়া। নির্ধারিত সময়ে মধ্যে ভবনগুলো নির্মাণ করতে না পারলে ৪০ হাজার কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে সরকারকে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের মাইলফলক হয়ে থাকবে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
১৯৬১ সালে পাবনার ঈশ্বরদী থানার রূপপুরে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২-১৯৭৫ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২০০ মেগা-ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটের প্রথম কংক্রিট ঢালাই উদ্বোধন করেন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে ৬০ বছর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এর পেছনে বার্ষিক খরচ হবে মাত্র এক হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হলে দেশের ৬ কোটি মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা ভোগ করবে।
সম্প্রতি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। রেকর্ড পরিমাণ ব্যয়ের রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম।