প্রতি বছরের মতো এবারও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় খরচে সরকারি বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তারা হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন। গত ১ জুলাই থেকে গতকাল রোববার (২১ জুলাই) পর্যন্ত ২০ দিনে মোট সাত দফায় রাষ্ট্রীয় খরচে মনোনয়নপ্রাপ্ত ৩৮৯ জন হজযাত্রীর তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়। এ সংখ্যা চারশ’ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও সিইসি কে এম নূরুল হুদাও রয়েছেন
আগামী ২৯ ও ৩০ জুলাই ফ্লাইট প্রাপ্তি সাপেক্ষে তারা পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি যাবেন। ১০ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে আসবেন। তারা ধর্ম মন্ত্রণালয় ঘোষিত ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকার প্যাকেজ-২-এর সুবিধায় হজ পালন করবেন।
এ তালিকার বাইরে হজ ব্যবস্থাপনার সার্বিক তত্ত্বাবধান ও দিক-নির্দেশনার জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ‘ভিআইপি’ হজ প্রতিনিধি দল-২০১৯ গঠিত হয়। এ তালিকায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার, একাধিক প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও সংসদ সদস্য রয়েছেন। এ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আবার প্রত্যেকে ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে স্ত্রী ও সন্তানসহ তিনজনকে সঙ্গে হজে নিয়ে যেতে পারবেন। তারা ও তাদের স্ত্রী সন্তানরা ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকার প্যাকেজ-১-এর সুবিধায় হজ করবেন।
রাষ্ট্রীয় খরচে হজে মনোনয়ন বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলে বলেছেন, রাষ্ট্রীয় খরচে মনোনয়নের কোনো নীতিমালা রয়েছে কি না? যাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হয় তাদেরকে কোন ভিত্তিতে মনোনয়ন দেয়া হয়?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সাধারণত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সংসদ সদস্য ও রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন মহল থেকে সরকারি খরচে হজে পাঠানোর নাম প্রস্তাব করে ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে একটি খসড়া তালিকা প্রণয়ন করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায়। প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনে রাষ্ট্রীয় খরচে হজে মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।