সারা বিশ্বে ম্যাক্স ৭৩৭ মডেলের উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডিংয়ের ফলে ৪৯০ কোটি ডলার লোকসান গুনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং। আগামী সপ্তাহে প্রকাশ হতে যাওয়া দ্বিতীয় প্রান্তিকের আয় প্রতিবেদনে কোম্পানিটির আয়ের বড় অংশই কমতে দেখা যেতে পারে।
এক বিবৃতিতে বোয়িং জানায়, গত অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ায় একটি ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় এবং গত মার্চে ইথিওপিয়ায় অন্য একটি দুর্ঘটনা ম্যাক্সের ভবিষ্যতকে আরো অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। দুটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মোট ৩৪৬ জন আরোহী প্রাণ হারান।
তিনি বলেন, দুই দুর্যোগের পর বিশ্বজুড়ে ৭৩৭ গ্রাউন্ডেড করায় এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বোয়িং। চলতি বছরের শেষ তিন মাসে বোয়িং ৭৩৭-এর সেবায় ফেরাটাই আমাদের জন্য সর্বোত্তম পূর্বাভাস।
দুর্ঘটনা তদন্তকারীরা উড়োজাহাজটির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছেন। সফটওয়্যার আপগ্রেডের লক্ষ্যে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বোয়িং। উড্ডয়নের অনুমতিপত্র পেতে নীতিনির্ধারকদের কঠোর পর্যবেক্ষণের আওতায় রয়েছে বোয়িং। এছাড়া সংস্থাটির উড়োজাহাজ বিক্রয় কমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মাসিক গড় উৎপাদন ৫২ থেকে কমে ৪২টিতে দাঁড়িয়েছে।
দীর্ঘ কয়েক মাসের গ্রাউন্ডিংয়ের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের এবং উড়োজাহাজ সরবরাহে বিলম্বের ক্ষতিপূরণেই যাচ্ছে ৪৯০ কোটি ডলারের বড় অংশ।
বোয়িংয়ের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ডেনিস মুইলেনবার্গ বলেন, সবচেয়ে তাত্পর্যপূর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা। আমাদের উড়োজাহাজ ভ্রমণকারী সব ক্রু ও যাত্রীর নিরাপত্তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছু নেই। ম্যাক্সের গ্রাউন্ডিং বোয়িংয়ের আয়ে লক্ষণীয় শ্লথগতি নিয়ে এসেছে।
বোয়িং বলছে, তারা এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ম্যাক্স ৭৩৭-কে সেবায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কোম্পানির সর্বোচ্চ আশাবাদের জায়গা থেকে চতুর্থ প্রান্তিকে সেবায় ফেরার কথা বলা হলেও বাস্তবে আরো বিলম্ব হবে বলে আশঙ্কা বোয়িংয়ের। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সেবায় ফিরতে না পারলে আরো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে তারা।