প্রচ্ছদ খেলাধুলা সোমবার নকআউট পর্ব থেকেই মাঠে দর্শক, ফ্রাঞ্চাইজিদের হাতে থাকবে টিকিট

সোমবার নকআউট পর্ব থেকেই মাঠে দর্শক, ফ্রাঞ্চাইজিদের হাতে থাকবে টিকিট

0
ক্রিকেট দল

সোমবার নকআউট পর্ব থেকেই মাঠে উপস্থিত হয়ে বিপিএলের খেলা দেখতে পারবেন দর্শকরা। করোনা সংক্রমনের গতি নিম্নমুখি। এ কারণে বিপিএলেও সীমিত পরিসরে দর্শক মাঠে আনার চিন্তা-ভাবনা করছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। শনিবার বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, তারা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করছে। অবশেষে সবুজ সঙ্কেত পাওয়া গেছে।

তবে খুবই স্বল্প পরিমাণে। শনিবার রাতেই জানানো হয়েছে, নকআউট পর্ব থেকে মাঠে থাকতে পারে দর্শক। সেখানে বলা হয়েছিল আড়াই হাজার দর্শককে টিকিট দেয়া হবে।

কিন্তু সেখান থেকে সংখ্যা বেড়েছে। টিকিট দেয়া হবে তিন থেকে চার হাজার দর্শককে। ২৫ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামে হাজির হয়ে খেলা উপভোগ করতে পারবেন স্বল্প কিছু দর্শক।

বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন প্রথম জানিয়েছিলেন, দর্শক মাঠে আসতে পারে। এ নিয়ে তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলাপ করছেন। আজ রোববার বিকেলে সে তথ্যেরই নিশ্চয়তা দিলেন বিসিবি মিডিয়া কমিটির নতুন চেয়ারম্যান তানভির আহমেদ টিটু।

সোমবার নকআউট পর্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘২৫ হাজার দর্শকাসন বিশিষ্ট শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অল্প কয়েক হাজার (তিন-চার হাজার) দর্শককে খেলা দেখতে দেয়াটাও বিরাট ঝক্কির। কাকে রেখে কাকে দেয়া হবে। কেউ টিকিট পাবেন, কেউ পাবেন না- তা নিয়ে আবার সৃষ্টি হতে পারে হট্টগোল। তাই বিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, টিকিট জনসাধারণের কাছে বিক্রি করা হবে না। অর্থ্যাৎ জনগনের জন্য টিকিট উন্মুক্ত করা হবে না। টিকিটগুলো বিসিবি থেকে দেয়া হবে সংশ্লিষ্ট ফ্রাঞ্চাইজিদের কাছে। অর্থ্যাৎ, নকআউট পর্বে যারা উঠে এসেছে এবং যেদিন যাদের খেলা তাদের কাছে টিকিটগুলো দেয়া হবে। তারা নিজ নিজ সমর্থকদের কাছে টিকিট বন্টন করবে।’

বিসিবি মিডিয়া কমিটি চেয়ারম্যান তানভির টিটু জানান, ‘জনগন ও ক্রিকেট অনুরাগীদের মধ্যে একটা আকাঙ্খা ছিল মাঠে এসে বিপিএল দেখার; কিন্তু করোনার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। তবে বিসিবি প্রেসিডেন্ট মহোদয়ের (নাজমুল হাসান পাপন) আন্তরিক চেষ্টায় কিছু সংখ্যক দর্শককে মাঠে আনার জন্য অনুমতি পেয়েছি।’

‘তো সরকারের সাথে আমাদের কথার প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, তিন থেকে চার হাজার দর্শক মাঠে খেলা দেখতে আসতে পারবে। তবে এখানে যেন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সেজন্য টিকিটগুলো সেল করা হচ্ছে না। এটা যে ফ্রাঞ্চাইজিগুলি আছে, যারা পার্টিসিপেট করছে বিপিএলে, তাদের সাথে এখানে যারা যারা সম্পৃক্ত তাদের মাধ্যমে আমরা টিকিটগুলো দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিব। যাতে তিন থেকে চার হাজার দর্শক মাঠে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খেলা দেখতে পারে।’

টিটুর দেয়া তথ্য অনুযায়ী আগামীকাল ১৪ ফেব্রয়ারী সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে (বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরে, দুটো ভ্যাকসিন নেয়ার সার্টিফিকেট দেখিয়ে) তিন থেকে চার হাজার দর্শক খেলা দেখতে মাঠে আসতে পারবেন।

টিটু আরও যোগ করেন, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা টিকিট দেব। দলগুলো তাদের সমর্থকদের মাঝে তা বন্টন করে দেবে। তাই ফ্র্যাঞ্চাইজিরা আমাদের কাছ থেকে টিকিট কিনে নিচ্ছে, আমরা সেভাবে ডিস্ট্রিবিউট করছি।’

শুধু সংখ্যায় কম বলেই কী টিকিট বিক্রি না করে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছে দেয়া? এ প্রশ্নের জবাবে বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা যদি ওপেন সেল-এ যাই তাহলে কোভিড প্রটোকল মেইনটেইন করা কষ্ট হয়ে যাবে। এ কারণেই বিকল্প পথে হাঁটা।’

শেয়ার করুনঃ

কোন মন্তব্য নেই

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version