যুক্তরাজ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা বড়দিনের পরপরই অনুমোদন পেতে পারে। ব্রিটিশ সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন, ২৮ বা ২৯ ডিসেম্বর টিকাটিকে অনুমোদন দিতে পারে দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিন্স অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ)।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের চূড়ান্ত তথ্য পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সোমবার এসব তথ্য দাখিল করা হবে। এমএইচআরএ-এর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, পর্যালোচনা চলমান রয়েছে। তবে সময়সীমা নিয়ে তিনি কোনো আপত্তি তুলেননি।
গ্রেট ব্রিটেনে ইতোমধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনা টিকা নিয়েছেন। চলতি মাসের শুরুতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা জরুরি ব্যবহারের জন্য টিকাটি প্রয়োগের অনুমতি দেয়। ফাইজারের টিকাটি মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু অক্সফোর্ডের টিকা রুমের সাধারণ তাপমাত্রায় রাখা যায়।
শনিবার যুক্তরাজ্যের সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, ফাইজার-বায়োএনটেকের অবশিষ্ট টিকা ডোজ জানুয়ারিতে প্রয়োগ করা হবে। মার্চ মাসের আগে আর কোনো টিকা চালান পাওয়া যাবে না। ফলে চলমান টিকা কর্মসূচি স্থবির হয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেছেন, অক্সফোর্ডের টিকা বড় ধরনের পার্থক্য এনে দিতে পারে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার পর ব্রিটেনজুড়ে ফুটবল স্টেডিয়াম, রেস কোর্সগুলোয় আগামী বছরের শুরুতেই গণটিকা কর্মসূচি শুরু হবে। এর ধারাবাহিকতায় মার্চে দেশটির ঝুঁকিতে থাকা ২ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এতে করে কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করার পথ সুগম হবে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ১০ কোটি ডোজ অর্ডার দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। যুক্তরাজ্যে অনুমোদন পেলে যেসব দেশ টিকাটির আগাম অর্ডার দিয়েছে তাদের মনোবল বাড়বে।
