নারায়ণগঞ্জে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ ও বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ করায় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করেছে তিন পোশাক কারখানা। মঙ্গলবার সকালে একে ফ্যাশন, আহসান গ্রুপ ও অ্যাপরেলস লিমিটেড অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করেছে ।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের প্রতিবাদ ও বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ৩ পোশাক কারখানার কয়েশ’ শ্রমিক। গার্মেন্ট ৩টির মালিক ইঞ্জিনিয়ার কামরুল আহসান। বিক্ষোভ চলাকালে দুপুরে কারখানাগুলো অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান নেয়।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার আইনুল হক জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে মালিকপক্ষ কারখানা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। পরে তারা পরিস্থিতি বুঝে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেবে।
লকডাউনের সময় গার্মেন্ট লে-অফ ছিল। পরে সীমিত আকারে গার্মেন্ট চালু করা হয়। লকডাউনের সময় এবং কারখানা চালু করার পরও যেসব শ্রমিক কর্মচারী কাজে যোগদান করেননি তাদের মূল বেতনের ৬০ শতাংশ মালিকপক্ষ দিয়ে আসছে। গার্মেন্ট পুরোপুরি চালু না হওয়ায় ৩শ’ শ্রমিক-কর্মচারী কাজে যোগ দিতে পারেননি। তাদের ছাঁটাই করা হবে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ শ্রমিক কর্মচারীদের মাঝে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকালে ৩ গার্মেন্টের ২২শ’ শ্রমিকের মধ্যে ১৯শ’ কাজে যোগ দেন। এর মধ্যে কিছু শ্রমিক গার্মেন্টের পরিচালক আবদুর রাজ্জাককে বেধড়ক মারধর করে। গার্মেন্টের পরিচালক রুবাইয়াত হোসাইন জানান, ৩ গার্মেন্টেই মার্চের পুরো বেতন দেয়া হয়েছে ৭ এপ্রিল। পরদিন এপ্রিলের বেসিক বেতন দিয়ে ১ মে পর্যন্ত গার্মেন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়। বিকাশের মাধ্যমে মে মাসের বেতনসহ সরকার ঘোষিত সব পাওনাদি পরিশোধ করা হয়। কাজের অর্ডার না থাকার পরও আংশিক গার্মেন্ট খোলা হয় মঙ্গলবার। এতে কিছু শ্রমিক কাজে যোগদান করেন। কিন্তু শ্রমিকদের একটি অংশ বাইরে বিক্ষোভ শুরু করে।