অ্যাসিডিটি বা গ্যাস সমস্যায় আমরা কম বেশি ভুগে থাকি। খাবার ভালো ভাবে চিবিয়ে না খাওয়া, অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার খাওয়া, কিছু ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনসহ বিভিন্ন কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গ্যাস্ট্রিক গ্রন্থিতে এসিডের অত্যধিক নিঃসরণ হলে সাধারণত অ্যাসিডিটি বাড়ে। তখন বুক জ্বালা, অস্বস্তি, বমি বমি ভাব, বদহজম, বমি হয়। যাদের ঘন ঘন অ্যাসিডিটির সমস্যা হয় তাদের জীবনযাপন পদ্ধতি এবং খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। যেমন-
– ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় পরিহার করুন। এর পরিবর্তে হারবাল চা খেতে পারেন।
– ঘুমানোর আগে নিয়মিত হালকা গরম পানি পান করুন।
– দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় কলা, শসা যোগ করুন। মৌসুমের সময় নিয়মিত তরমুজের জুস খান। এটি অ্যাসিডিটি কমাতে দারুণ কাজ করে।
– ডাবের পানি অ্যাসিডিটি কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে, এ ছাড়া অ্যাসিডিটি দূর করতে নিয়মিত ঠাণ্ডা দুধও পান করতে পারেন।
– ঘুমানোর অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন।
– খাবার গ্রহণের মধ্যে দীর্ঘ বিরতি দিলে অ্যাসিডিটি বাড়ে। এ কারণে কম করে খেলেও প্রত্যেক বেলায় নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
– আচার, মসলাদার চাটনি, ভিনেগার ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
– কিছু পুদিনা পাতা পানিতে সিদ্ধ করে নিন । খাওয়ার পরে নিয়মিত এটি খান। এ পানীয় অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করবে।
– প্রতিদিন এক টুকরা করে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়।
– গুড়, লেবু, কলা, বাদাম এবং টক দই অ্যাসিডিটি দূর করতে ভালো কাজ দেয়।
– অতিরিক্ত ধুমপান এবং অ্যালকোহল পানে অ্যাসিডিটি বাড়ে। এ কারণে এসব অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
– নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এটি অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।
– অস্বস্তি দূর করার জন্য দুপুরের খাবারের এক ঘন্টা আগে চিনির সঙ্গে লেবু পানির মিশ্রণ খেতে পারেন।
– কিছু সবজি যেমন- সজনে, শিম, মিষ্টি কুমড়া, বাঁধাকপি, গাজর, পেঁয়াজ ইত্যাদি অ্যাসিডিটি কমাতে ভূমিকা রাখে।