প্রচ্ছদ লাইফ স্টাইল আয়রনের ঘাটতি পূরণে যে ছয় খাবার

আয়রনের ঘাটতি পূরণে যে ছয় খাবার

0
যকৃত

আয়রনের ঘাটতি হলে অথবা খাবারে নিয়মিত কোনও একটি খনিজের অভাব ঘটলে শরীর আর সাড়া দিতে চায় না। এর মধ্যে আয়রনটা বেশ জরুরি। যার ঘাটতিতে শরীরে লোহিত রক্তকণিকা কমে যায়। বিশেষ করে নারীদের শরীরে এ খনিজের ঘাটতি বেশি দেখা যায়। যার পরিণতিতে নেমে আসে একরাশ অসাড়তা, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও মাথা ঘোরানোসহ আরও কিছু জটিলতা। তাই নিয়ম করে কিছু খাবার খেলেই প্রাকৃতিকভাবে শরীরে তৈরি হবে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন।

ফেলন ডাল
ইংরেজিতে বলে ব্ল্যাক আইড পিজ। বরবটি গোত্রের বীজ জাতীয় শস্য এটি। মসুর ডালের পাশাপাশি নিয়মিত ফেলন ডাল খেলে আয়রন পাবেন প্রচুর। এটি একবেলা খেলেই দিনের ২৬ শতাংশ আয়রনের চাহিদা মিটবে।

যকৃত, কিডনি, মগজ
এগুলোকে বলে অর্গান মিট। বিশেষ করে গরুর কলিজা এদের মধ্যে আয়রনে ভরপুর। মাঝে মাঝে এটি মেন্যুতে রাখুন। একবেলা ভরপেট কলিজা ভুনা মেটাতে পারে দিনের ৩৬ ভাগ আয়রনের চাহিদা।

গুড়
খাঁটি গুড় শুধু যে চিনির বিকল্প তা নয়, এটি আয়রনের চাহিদাও মেটায়। তবে ডায়াবেটিকদের জন্য এটা খেতে হবে পরিমাণমতো। বাকিরা চাইলে এক গুড় দিয়েই মেটাতে পারেন সারাদিনের আয়রনের চাহিদা।

আমলকী
ভিটামিনি সি-এর জন্য নামকরা ফলটি কিন্তু আয়রন ও ক্যালসিয়ামেও ভরপুর। এমনকি আমলকিতে এত বেশি আয়রন থাকে যে রক্তশূন্যতার রোগীদের জন্যও এটি বেশ ভালো কাজ করে। সরাসরি খেতে ইচ্ছে না করলে আচার কিংবা মোরব্বা বানিয়েও খেতে পারেন।

কিসমিস
অনেক ড্রাই ফ্রুটেই আয়রন আছে। তবে কিসমিসে সেটা একটু বেশিই পাবেন। উপরি পাওনা হিসেবে থাকছে কপার ও এমন কিছু ভিটামিন, যেগুলো রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। সারারাত ভিজিয়ে রাখা কিসমিস সকালে খেলে রক্তের স্বাস্থ্যটাও থাকবে ভালো।

পালং শাক
সপ্তাহে দুদিন পাতে রাখুন পালং শাক। প্রচুর আয়রন তো আছে, মাংসপেশীর গঠনেও কাজ করে এটি।

শেয়ার করুনঃ

কোন মন্তব্য নেই

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version