লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে ঠান্ডায় জমে সাত বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, তাঁরা নৌকায় করে লিবিয়া থেকে ইতালির ল্যাম্পাডুসা দ্বীপের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন।
এর মধ্যে পাঁচ জনের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলায়। অন্য দুইজনের মধ্যে একজনের বাড়ি সুনামগঞ্জে এবং আরেকজনের বাড়ি কিশোরগঞ্জে।
ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, মৃত ওই বাংলাদেশিদের সঙ্গে পরিচয় শনাক্তকারী কোনো ধরনের ডকুমেন্ট না থাকায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। তবে ওই বাংলাদেশিদের সঙ্গে ইতালির ল্যাম্পেডুসায় পৌঁছা অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে মৃত সাত জনের তথ্য পাওয়া গেছে।
মৃত বাংলাদেশিরা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম পিয়ারপুর গ্রামের ইমরান হোসেন, পিয়ারপুর গ্রামের রতন জয় তালুকদার, ঘটকচর গ্রামের সাফায়েত, মোস্তফাপুর গ্রামের জহিরুল এবং মাদারীপুর সদর উপজেলার বাপ্পী।
মৃত অপর দুই জন হলেন সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার মামুদপুর গ্রামের সাজ্জাদ ও কিশোরগঞ্জে ভৈরব উপজেলার সাইফুল।
ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, মৃতদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি ছয় জনের পরিচিতরা উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন। তাই ইতিমধ্যে বাংলাদেশে তাদের স্বজনদের কাছে পরিচয় পৌঁছে যাওয়ার কথা। মৃতদেহগুলো সরকারি খরচে দেশে ফেরত পাঠাতে হলে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে। পরিচয় নিশ্চিত করার স্বার্থে তাদের পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়/উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় বা ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের কল্যাণ শাখার ইমেইলে (welfare.rome@gmail.com) যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : তুষারঝড়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার ফ্লাইট বাতিল
এর আগে গত শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ঠান্ডায় মৃত্যু হওয়া ওই সাত বাংলাদেশির নৌকায় ২৮৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিলেন। তাদের মধ্যে ২৭৩ জনই বাংলাদেশি।
বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, সাতটি মরদেহ দেশে আনা বা দাফনের আগ পর্যন্ত সিসিলি প্রদেশের এগ্রিজেন্তো এলাকার মর্গে রাখা যাবে। মরদেহগুলো দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। দূতাবাস অসাধু মানবপাচারকারী চক্র থেকে সাবধান থাকতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।