ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ববাজারে তেলের দাম লাফিয়ে বাড়তে থাকে। বিশেষ করে রাশিয়ান তেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পরেই বিশ্ববাজারে তেলের দাম বিগত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়। এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের পদক্ষেপে তেলের দাম নিম্মমুখী হয়েছে। জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যর দেশটি তেলের উৎপাদন বাড়াবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ঘোষণার পর আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি ১৩ শতাংশ বা ১৬ দশমিক ৮ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ১১১ দশমিক এক ডলারে। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুয়েড অয়েলে দাম ১২ শতাংশ বা ১৫ ডলার কমে হয়েছে ১০৮ দশমিক সাত ডলার।
সোমবার (৭ মার্চ) বিশ্ববাজারে লেনদেন শুরু হতেই জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে যায়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর আগে থেকেই বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছিল। তবে রাশিয়া আক্রমণ শুরু করার পর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পালে নতুন হাওয়া লাগে।
অবশ্য রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করলে জ্বালানি তেলের দাম একশ ডলার ছাড়িয়ে যাবে এমন আশঙ্কা আগেই প্রকাশ করেছিলেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে নিউইয়র্কভিত্তিক ফরেন এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ওনাডার বিশ্লেষক অ্যাডওয়ার্ড মোয়া বলেছিলেন, ইউক্রেনে আক্রমণ হলে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১০০ ডলার ছাড়াতে কোনো বাধা থাকবে না। তার মতে, ইউক্রেন পরিস্থিতি সম্পর্কিত খবরাখবরের জন্য তেলের বাজার খুবই অস্থির ও সংবেদনশীল থাকতে পারে।
রাশিয়া আক্রমণ শুরুর অল্পসময়ের মধ্যেই বাজার বিশ্লেষকদের আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত হয়। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করতেই আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম একশ ডলারে ওঠে আসে। এরপর প্রতিদিন জ্বালানি তেলের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর এক সপ্তাহের মধ্যেই জ্বালানি তেলের দাম ২০ শতাংশের ওপরে বেড়ে যায়।