একুশে বইমেলা শুরু হয়েছে। দুপুর ৩টায় উদ্বোধনের পর প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমির মেলা প্রাঙ্গণ। উচ্ছ্বাস নিয়ে মেলায় প্রবেশ করেছেন বইপ্রেমীরা। সন্ধ্যার পর থেকে মেলায় বাড়ে লোকসমাগম। ব্যস্ত হয়ে পড়েন বিক্রয়কর্মীরাও।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলা উদ্বোধন করে চলে যাওয়ার পর আসতে শুরু করেন দর্শনার্থীরা। সন্ধ্যা নামার পর থেকে লোকসমাগম বাড়তে থাকে। পাঠক-দর্শনার্থীদের পদচারণায় সরব হয়ে ওঠে বইমেলা। পাশাপাশি বর্ণীল আলোকসজ্জায় সজ্জিত দেখা গেছে মেলার স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলো।
একুশে বইমেলা – প্রথমদিনে বেচাকেনা না জমলেও বই দেখতে ব্যস্ত পাঠকরা। খুঁজে খুঁজে বই বের করে পড়েন তারা। প্রথম দিন হওয়ায় মেলায় বইকেনার চেয়ে গল্প-আড্ডায় মনোযোগী দেখা গেছে দর্শনার্থীদের।
শব্দশৈলী প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী মিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা দুপুর থেকেই স্টলে কাজ করছিলাম। বইগুলো সাজিয়েছি। এবছর নতুন ৪৪টি বই এসেছে। আজ প্রথম দিন অল্প বেচাকেনা হয়েছে। আশা করি কাল থেকে বাড়বে বেচাকেনা।
ইত্যাদি প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী সাকিব হাসান বলেন, আজ তো প্রথমদিন, বেচাকেনা তেমন হয়নি। এরমাঝে বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। প্রথমদিন হিসেবে মেলায় মোটামুটি জনসমাগম হয়েছে। আগামীকাল ছুটির দিনে পাঠকদের ভিড় বাড়বে।
বইমেলায় এসেছেন কলেজ শিক্ষার্থী রাজিব হোসাইন। তিনি বলেন, আজ বই কিনি নাই। ঘুরে ঘুরে দেখেছি। কোথায় কি আছে। কিছু বই পছন্দ করে রেখেছি সেগুলো অন্যদিন এসে কিনবো।
আরেক দর্শনার্থী রামপুরার বাসিন্দা সাইফ হোসেন বলেন, আজকে একটু ভিড় কম। প্রথমদিন মেলায় আনন্দ বেশি। এবার কিছু প্রিয় লেখকের বই আসবে মেলায়। সেগুলো কিনবো।
অন্যদিকে দর্শনার্থীদের জন্য বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথমদিন হিসেবে লম্বা লাইন ধরতে হয়নি। মেলার প্রবেশপথে সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চেকিং করে প্রবেশ করানো হয়। এবার মেলায় ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার কাজে নিয়জিত থাকবে ফায়ার সার্ভিস।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফায়ার সার্ভিস কর্মী সোহাগ বলেন, বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান দুই জায়গায় আমাদের দুটি টিম রয়েছে। আমাদের পানিবাহী গাড়ি আছে। একটা অ্যাম্বুলেন্সও আছে।
জানা যায়, এবছর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে হচ্ছে বইমেলা। বাংলা একাডেমি মাঠে ১২০ প্রতিষ্ঠানের ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৫১৫ প্রতিষ্ঠানের ৭৬৪টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এবছর প্যাভিলিয়ন থাকছে ৩৭টি। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে ৩৬টি।