দেশে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরও ২৬৬ জন। এ নিয়ে সংক্রমিত হয়েছেন ১ হাজার ৮৩৮ জন। তাদের মধ্যে এককভাবে ঢাকা শহরের মিরপুরে করোনায় সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি।
আজ শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে যুক্ত হয়ে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।
সেব্রিনা বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ২৬৬ জন, যা সাকুল্যে এই পর্যন্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৩৮ জন। বয়স বিভাজনে দেখা যায় সর্বোচ্চ সংক্রমিত ব্যক্তির বয়সসীমা ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, শতকরা ২১ ভাগ। এর পরবর্তীতে রয়েছে ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়স, শতকরা ১৯ ভাগের মতো এবং ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, শতকরা ১৫ ভাগের মতো। মোটামুটি আমরা দেখতে পাই ২১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।’
আইইডিসিআর পরিচালক আরও বলেন, ‘নারী-পুরুষ বিভাজনে দেখা যায় শতকরা ৬৮ ভাগ পুরুষ। আর নারী ৩২ ভাগ। জায়গার বিশ্লেষণে দেখা যায় শতকরা ৪৬ ভাগ ঢাকা শহরের। এরপরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ, শতকরা ২০ ভাগ। এর পরে নতুন করে আমরা অনেক রোগী দেখতে পাচ্ছি গাজীপুরে। চট্টগ্রাম, মুন্সীগঞ্জেও রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
ডা. সেব্রিনা বলেন, ‘ঢাকা শহরের মধ্যে আক্রান্ত বা সংক্রমণের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখেছি, বড়ভাবে যদি বলি তাহলে সেটা মিরপুরে সবচেয়ে বেশি। আমরা দেখেছিলাম টোলারবাগে সংক্রমণ বেশি ছিল। এখন মিরপুরের বিভিন্ন অঞ্চল এবং টোলারবাগের এই পুরোটা এরিয়াটা ধরে আমরা যদি বলি, এটা শতকরা প্রায় ১১ ভাগ। এরপরেই রয়েছে মোহাম্মদপুর এলাকা, যেখানে শতকরা ৪ ভাগ পেয়েছি। ওয়ারী, যাত্রাবাড়ী এ সমস্ত এলাকায় শতকরা ৪ ভাগের মতো সংক্রমিত ব্যক্তি পেয়েছি। এর পরে আছে উত্তরা, শতকরা ৩ ভাগ এবং ধানমণ্ডিতে শতকরা ৩ ভাগ।’
এর আগে বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল ৩৪১ জন, মৃত্যু হয় ১০ জনের। তার আগের দিন শনাক্ত হয় ২১৯, মৃত্যু হয় ৪ জনের। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এর পর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।