গত ২৪ ঘণ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী করোনার তাণ্ডব কিছুটা কমেছে। সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়লেও তা আগের দিনের তুলনায় কম। একই অবস্থা প্রাণহানিতেও। দেশটিতে নতুন করে সাড়ে ৬শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে ভাইরাসটিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪২ হাজার ৫৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৫৭ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ২ লাখ ৩ হাজার ৮২৪ জনে ঠেকেছে।
অন্যদিকে গত একদিনে সুস্থতা লাভ করেছেন ৩৩ হাজারের বেশি রোগী। এতে মোট সুস্থ হওয়ার সংখ্যা ৪২ লাখ ২৩ হাজার ৬৯৩ জনে পৌঁছেছে।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।
সবচেয়ে নাজুক অবস্থা ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও এ শহরে করোনার শিকার ৭ লাখ প্রায় ৮৪ হাজার মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৯৮৭ জনের। সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হার দীর্ঘ হচ্ছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ২০ হাজারের বেশি। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ১৫ হাজার ১৭২ জনের।
ফ্লোরিডায় করোনার শিকার ৬ লাখ প্রায় ৮১ হাজারের অধিক মানুষ। ইতোমধ্যে সেখানে ১৩ হাজার ২৯২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৪ লাখ ৮৩ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৩৩ হাজার ১৭০ জন ভুক্তভোগী।
জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৬ হাজার ৫৯৯ জনের। ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী পৌনে ৩ লাখের বেশি মানুষ। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ হাজার ৬৭২ জন।
অ্যারিজোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ সাড়ে ১৩ হাজার মানুষ। যেখানে প্রাণ গেছে ৫ হাজার ৪৬৭ জনের। নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ২ লাখ ৩ হাজার ছুঁই ছুঁই। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ১৮৭ জনের।
এ ছাড়া ম্যাসাসুয়েটসস, পেনসিলভেনিয়া, উত্তর ক্যারোলিনা, লুসিয়ানা, টেনেসি ও অ্যালাবামার মতো শহরগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে।