দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মারা গেছেন ৭ হাজার ৪২৮ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৮৩৪ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৯ জন।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬৮৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৫০ হাজার ৪৮৮ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৬৩টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৪টি, জিন-এক্সপার্ট ১৯টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ২৯টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে নয় হাজার ৬৬১টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে নয় হাজার ৯১২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩১ লাখ ৫৯ হাজার ২৬০টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার আট দশমিক ৪১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৬৬ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩০ জনের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ ও নারী সাত জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে সাত জন। এছাড়া খুলনা, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে এক জন করে তিন জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ৩০ জন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ২১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চার জন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৮৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১০৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৫ হাজার ৭৩৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৮৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৮৫৪ জন।