চারটি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র- যখন বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে তখনই সরকার বিদ্যুৎ কিনবে এমন শর্তে মোট ১৭৩ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পুরোনো চারটি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
সভায় অনুমোদিত প্রস্তাবের বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন জানান, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পুরোনো চারটি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
যেসব রেন্টালের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ল
বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সিলেটের কুমারগাঁও ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ ২০২২ সালে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছর বাড়ানোর জন্য স্পন্সর কোম্পানি এনার্জি প্রিমা লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৮৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
ফেঞ্চুগঞ্জ ৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ তিন বছর বাড়ানোর জন্য স্পন্সর কোম্পানি এনার্জি প্রিমা লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৭৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
বগুড়া ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ তিন বছর বাড়ানোর জন্য স্পন্সর কোম্পানি এনার্জি প্রিমা লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১০৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
আশুগঞ্জ ৫৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর জন্য স্পন্সর কোম্পানি ইউনাইটেড এনার্জি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪৫১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ে ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাস অথবা আরএলএনজিভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে কনফিডেন্স পাওয়ার হোল্টিংস লিমিটেড, জিই ক্যাপিটাল ইউএস হোল্ডিং ইঞ্চ, কনফিডেন্স পাওয়ার লিমিটেড এবং ইলেক্ট্রোপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ২২ বছর মেয়াদে ব্যয় হবে ৬৯ হাজার ১৫২ কোটি ১৬ লাখ টাকা।