পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে রোববার (২ জুলাই) খুলেছে সরকারি সব অফিস-আদালত, ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। প্রথম দুই দিন ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তেমন ভিড় দেখা যায়নি। তবে তৃতীয় দিন মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাজধানী ঢাকার ব্যাংকগুলোতে কিছুটা বেড়েছে গ্রাহক সংখ্যা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঈদের ছুটি শেষে ব্যাংক লেনদেন হচ্ছে আগের সময়সূচি অনুযায়ী। অর্থাৎ ব্যাংকে লেনদেন চলছে সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। আর অফিসের কার্যক্রম চলছে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মতিঝিল, গুলিস্থান, পল্টন, ফকিরাপুলসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাংকগুলোতে সাধারণ গ্রাহকের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। তবে ঈদের পর প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের তুলনায় গ্রাহক উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে। কর্মকর্তারা পরিচিত অনেক গ্রাহকের সঙ্গে লেনদেনের পাশাপাশি কুশলাদি বিনিময় করছেন।
ব্যবসায়ী আসাদ নূর রূপালী ব্যাংকে এসেছেন টাকা তুলতে। তিনি বলেন, আমার লেদার কর্মচারীদের বেতন দিতে হবে যেটা ঈদের আগে দেওয়া হয়নি। টাকা জমা দিতে এসেছেন ওয়াহিদ নামে এক গ্রাহক। তিনি বলেন, ঈদের আগে কোরবানিসহ কেনাকাটার জন্য বেশ কিছু টাকা উঠানো হয়েছিল। এর বেশিরভাগ টাকা আর প্রয়োজন পড়েনি তাই জমা দিতে এসেছি। খুচরো টাকার প্রয়োজন হলেতো কার্ডের মাধ্যমে উঠাতে পারবো।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদুল আজহার ছুটি শেষে অনেক মানুষ এখনও ঢাকায় ফেরেননি। এ কারণে ব্যাংকিং কার্যক্রমেও এর প্রভাব পড়েছে। সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আজ গ্রাহক গত দুই দিনের তুলনায় বেশি রয়েছে। আগামীকাল থেকে আরও বেশি গ্রাহক আসবে বলে ধারণা করছি। কারণ এরই মধ্যে ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে, মানুষ ঢাকামুখী হচ্ছেন। ঈদের আগে টাকা তোলার পরিমাণ বেশি ছিল। এখন টাকা জমা-তোলা দুটোই চলছে।