আগে শীতকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা না থাকলেও এবছর ব্যতিক্রম। চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৫৫ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৪ জন।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গু বিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানা যায়, এই মাসে (জানুয়ারি) ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বেশি শনাক্ত হয়েছে ঢাকার বাইরে, ৬৯৬ জন। আলোচ্য সময়ে ঢাকা মহানগরীতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫৮ জন। তবে আক্রান্ত কম হলেও মৃত্যু বেশি ঢাকায়, ৮ জন। এসময়ে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৬ জন মারা গেছেন। জানুয়ারি মাসে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৯২৮ ডেঙ্গুরোগী।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২০ জন। এ নিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১১৩ ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসাধীন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যু না হলেও চলতি বছর (১ থেকে ৩১ জানুয়ারি) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ২০ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৯ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরের ১১ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩ জন এবং ২৩ জন ঢাকার বাইরে।
২০২৩ সালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল ভর্তি হন রেকর্ড তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরের দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৭০৫ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জন মারা যান।