জাল টাকার প্রচলন প্রতিরোধে এবার আইন করা হচ্ছে। এতে জাল নোট প্রতিরোধে তথ্য প্রদান কিংবা জাল মুদ্রা কারবারিদের তথ্য প্রদান, প্রতিরোধ কার্যে অভিনব কোনো উপায় উদ্ভাবন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়ার বিধান রাখা হচ্ছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
‘জাল মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ আইন, ২০২০’ এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এ আইনের খসড়া ইতোমধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওয়েবসাইটে আপলোড করে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতামত চাওয়া হয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুনের মধ্যে অংশীজনদের মতামত নিয়ে এরপর মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে আইনটি পাসের জন্য জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে।
প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে জাল মুদ্রা প্রস্তুত, ধারণ, বহন, সরবরাহ, আমদানি-রফতানি এবং মুদ্রা প্রস্তুতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতিসহ আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদি সম্পর্কে তথ্য প্রদান কিংবা জাল মুদ্রা প্রতিরােধ অভিনব কোনো পন্থা বা উপায় উদ্ভাবন কিংবা গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সরকার পুরস্কার প্রদান করতে পারবে।
এছাড়া তথ্য প্রদানকারীকে আর্থিক পুরস্কারের পাশাপাশি কোনো দ্রব্য, মেডেল বা স্মারক বা প্রণােদনা প্রদান করতে পারবে। পুরস্কারের মূল্যমান এবং পুরস্কার প্রদানের জন্য উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচনসহ অন্যান্য প্রয়ােজনীয় বিষয়াদি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে।
প্রস্তাবিত আইনে মুদ্রা বা নোট জালকারী, জাল নোট সরবরাহ, পাচার, লেনদেন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হচ্ছে।
কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যত বেশি নকল মুদ্রা তৈরি বা সরবরাহের অভিযোগ প্রমাণিত হবে তার দণ্ড হবে তত বেশি। এ ছাড়া একই ব্যক্তি একাধিকবার এই আইনে অপরাধী হলেও দণ্ড বেড়ে যাবে। এতে সর্বনিম্ন দুই বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।