ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছাড়াই চলছে দেশের দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই)। বেশকিছুদিন হল ডিএসই ও সিএসই‘র এমডির মেয়াদ শেষ হয়েছে। সিএসইর এমডি পদ দেড় মাস ও ডিএসইর এমডি পদ প্রায় এক সপ্তাহ আগে শূন্য হলেও এখনো নিয়োগ হয়নি এ পদে। ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিয়েই চলছে স্টক এক্সচেঞ্জ দুটির কার্যক্রম।
কেএএম মাজেদুর রহমান ২০১৬ সালের ২৯ জুন দেশের সবচেয়ে বড় স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। এ বছরের ১১ জুলাই তার মেয়াদ শেষ হয়। ডিএসইর পর্ষদ আরেক মেয়াদের জন্য তাকে এমডি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করে অনুমোদনের জন্য ২৮ মে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) পাঠায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন করেনি কমিশন।
ডিএসইর প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) আবদুল মতিন পাটোয়ারি বর্তমানে ডিএসইর এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। গতকাল বিএসইসির কমিশন সভায় আরেক মেয়াদে ডিএসইর এমডি হিসেবে কেএএম মাজেদুর রহমানের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত কমিশন সভায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
অন্যদিকে এম সাইফুর রহমান মজুমদার ২০১৬ সালের ১৯ মে সিএসইর এমডি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি স্টক এক্সচেঞ্জটির ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরবর্তী তৃতীয় এমডি। তার আগে সিএসইর এমডি ছিলেন ওয়ালি উল-মারুফ মতিন। এ বছরের ৩১ মে এম সাইফুর রহমান মজুমদারের মেয়াদ শেষ হয়। এ পর্যন্ত এক্সচেঞ্জটি দুই দফা এমডি নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। কিন্তু যোগ্য প্রাথী পাওয়া যায়নি। বর্তমানে এক্সচেঞ্জটির মহাব্যবস্থাপক মো. গোলাম ফারুককে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে এর কার্যক্রম চলছে।
নতুন এমডি নিয়োগের বিষয়ে সিএসইর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ শামীম চৌধুরী বলেন, এমডি হিসেবে আমরা একজন যোগ্য প্রার্থী খুঁজছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কাউকে পাওয়া যায়নি। আমরা নিজেরাও বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করছি যোগ্য কাউকে খুঁজে পাওয়ার। আশা করি পেয়ে যাব।