২০২৩ সালে ঢাকায় দূতাবাস স্থাপন করবে আর্জেন্টিনা। দেশটির রাষ্ট্রপতি আলবার্তো ফার্নান্দেজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর পাঠানো চিঠিতে এ বিষয়ে জানিয়েছেন। আর্জেন্টিনার নিকটতম ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ফিফা বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি ও জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর জবাবে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি আলবার্তো ফার্নান্দেজ প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে তিনি ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস স্থাপনের ঘোষণা দেন।
দূতাবাস স্থাপনের মাধ্যমে দুই দেশের জনগণ ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির দৃঢ়বন্ধনে আবদ্ধ হবে বলে আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি অভিমত ব্যক্ত করেছেন। আর্জেন্টাইন ফুটবলের বিশ্বজয়ে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের প্রাণোচ্ছল উদযাপনে আর্জেন্টিনার জনগণ ও রাষ্ট্রপতি অভিভূত হয়েছেন। আলবার্তো বলেন, খেলাধুলা মানুষের মধ্যে বন্ধন ও সম্প্রীতি বৃদ্ধির একটি অর্থবহ ও শক্তিশালী মাধ্যম।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আর্জেন্টিনা ফিফা বিশ্বকাপ জয়ের পর দুই দেশের সরকারপ্রধানের শুভেচ্ছাবার্তা বিনিময় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফসল। এটি দক্ষিণ আমেরিকাতে বাংলাদেশের একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য।
ঢাকায় আর্জেন্টিনার দূতাবাস চালু হলে দক্ষিণ আমেরিকাতে বাংলাদেশের বাণিজ্য-বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সয়াবিন উৎপাদক দেশ আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন তেল আমদানি সহজতর হবে। সেই সঙ্গে মারকসুরের বাণিজ্য-বাজারে বাংলাদেশের প্রবেশ বেগবান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ঢাকাতে আর্জেন্টিনার দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ব্রাসিলিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। সেইসঙ্গে আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়াস অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।