সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফরম হোয়াটসঅ্যাপ কে তথ্য পাচারের অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছে। আয়ারল্যান্ডের ‘প্রাইভেসি ওয়াচডগ’-এর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কোম্পানিটি তার মূল সংস্থা ফেসবুকের মালিকানাধীন অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ব্যক্তিগত তথ্য আদান-প্রদান করেছে। ফলে কোম্পানিটিকে ২২৫ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। তিন বছর আগে গঠিত ‘জিডিপিআর’ (জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন) এর অধীনে কোম্পানিটির ওপর জরিমানা আরোপ করা হয়।
জরিমানাটি ‘জিডিপিআর’ আইনের অধীনে দ্বীতিয় সর্বোচ্চ এবং আয়ারল্যান্ড কমিশনের করা সবচেয়ে বেশি। এর আগে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের দায়ে টুইটারকে ৪ লাখ ইউরো জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন : হ্যাকিং এর কবলে হোয়াটসঅ্যাপ: তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা
আয়ারল্যান্ডের শহর ডাবলিনে অনেক বড় বড় প্রযুক্তি সংস্থার সদর দপ্তর রয়েছে, ফলে ‘দি আইরিশ ওয়াচডগ’ ইউরোপিয় ইউনিয়নের তথ্য ও এর গোপনীয়তার প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে।
তথ্য সুরক্ষা কমিশন গত বৃহস্পতিবার জানায়, হোয়াটসঅ্যাপকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি এই সমস্যার ‘প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ’ নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ এই জরিমানাকে তাদের জন্য সম্পূর্ণ অসম্মানজনক বলে অভিহিত করেছে এবং এ রায়ের বিপক্ষে আপিল করবে বলেও জানিয়েছে।
কোম্পানিটির মূখপাত্র দাবি করেন, হোয়াটসঅ্যাপ সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং আমরা ব্যবহারকারীদের ডেটা সুরক্ষিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সম্প্রতি হোয়াটঅ্যাপ তার মাসিক সম্মতি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে জানানো হয়, তারা গত ৭ সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৩ মিলিয়ন হোয়াটঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তারা এই সময়ের মধ্যে ৫৯৪টি অভিযোগ পেয়েছে এবং সবগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলোর বেশিরভাগই স্বয়ংক্রিয় বা বাল্ক মেসেজিংয়ের কারণে স্থগিত করা হয়েছে।
তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নীতিলঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা দিতে রাজি নয় বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ এবং রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথাও জানিয়েছে তারা।