প্রচ্ছদ লাইফ স্টাইল তিনটি সচেনতায় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব

তিনটি সচেনতায় স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব

0
স্তন ক্যানসারের

নারীর দেহে যেসব ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হয়, তার মধ্যে স্তন ক্যানসারের অবস্থান দ্বিতীয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ‘২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী ২.৩ মিলিয়ন নারী স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয় এবং এর মধ্যে ৫৬ হাজার নারী মৃত্যুবরণ করেন।’

ভারতে প্রতি ৪ মিনিটে একজন নারীর স্তন ক্যানসার ধরা পড়ে। আর প্রতি ৮ মিনিটে একজন নারী স্তন ক্যানসারে মৃত্যুবরণ করেন। তথ্য অনুসারে, ২৮ ভারতীয় নারীর মধ্যে একজনের জীবদ্দশায় স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

অনেকেরই দেরিতে শনাক্ত হয় এই দুরারোগ্য ব্যাধি। তবে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়লে প্রাথমিক পর্যায়েই স্তন ক্যানসার নির্ণয় করা সম্ভব। এছাড়াও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখাও জরুরি।

আরও পড়ুন : নিজেই সনাক্ত করুন স্তন ক্যানসারের লক্ষণ

এ বিষয়ে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর ফোর্টিস হাসপাতালের মেডিকেল অনকোলজি ও হেমাটো-অনকোলজি বিভাগের পরিচালক ডা. নিতি রাইজাদা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তার মতে, ‘স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে কয়েকটি বিষয় অনুসরণ করুন এখন থেকেই।’

স্তন ক্যানসারের কারণ:

বেশ কয়েকটি কারণে স্তন ক্যানসারে ঝুঁকি বাড়তে পারে। যার কিছু পরিবর্তনযোগ্য, আর কয়েকটি অপরিবর্তনীয়। বয়স, ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস, মাসিক হওয়া ও বন্ধের বয়সসীমা, প্রসবকাল ও বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়কালের উপরও নির্ভর করে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি। তবে এসব কারণ অপরিবর্তনীয়।

অন্যদিকে অনিয়মিত জীবনযাত্রার কারণেও বাড়তে পারে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি। তবে জীবনযাত্রা পরিবর্তনযোগ্য। এ কারণে সচেতন হয়ে জীবনযাপন করলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে।

জেনে নিন ৩টি করণীয়-

> পুষ্টিকর খাবার ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকা মেনে চলুন। কম চর্বি ও ক্যালোরির খাবার গ্রহণ করুন। ফল ও সবজি অবশ্যই পাতে রাখুন। বর্তমানে শুধু প্রাপ্তবয়স্করাই নয় বরং শিশুরাও মুটিয়ে যাচ্ছে। এর কারণ হলো আরামদায়ক জীবনযাপন করা। এই চিকিৎসকের মতে, স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি রোধে অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

> ‘ধূমপান ও অ্যালকোহলে আসক্তি স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এসব বদঅভ্যাস এড়িয়ে চললে যে কোনো ক্যানসারের ঝুঁকিই কমবে।

> স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও নজর রাখতে হবে। ‘দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমাতে মন সুস্থ রাখতে হবে।’

শেয়ার করুনঃ

কোন মন্তব্য নেই

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version