চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে দেশে ৩৮ হাজার ১১০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে এসেছিল ৩২ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা। সে হিসাবে তিন মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৬.৫৮ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার রেমিট্যান্স বাড়ছে। এ ছাড়া প্রবাসীরা বেশি অর্থ দেশে পাঠাচ্ছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, একক মাস হিসাবে জুলাইয়ে ১৫৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, আগস্টে ১৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার এবং সেপ্টেম্বরে ১৪৬ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬.৫৮ শতাংশ বেশি। আর সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৯ শতাংশ।
নতুন বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ঘোষণা অনুযায়ী, ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা ১০০ টাকা দেশে পাঠালে দুই টাকা প্রণোদনা পাবেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রেমিট্যান্সে এ ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এসংক্রান্ত একটি নীতিমালা ঘোষণা করেছে। ৬ আগস্ট তা প্রকাশ করে বলা হয়, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে প্রণোদনা পেতে এক হাজার ৫০০ ডলার পর্যন্ত কোনো ধরনের কাগজপত্র লাগবে না। তবে রেমিট্যান্সের পরিমাণ এই অঙ্কের বেশি হলে প্রাপককে প্রেরকের পাসপোর্টের কপি এবং বিদেশি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র অবশ্যই জমা দিতে হবে। আর ব্যবসায়ী ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যবসার লাইসেন্সের কপি দাখিল করতে হবে।
গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এক হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক আগের বছরের (২০১৭-১৮) চেয়ে ৯.৬ শতাংশ এবং অতীতের যেকোনো বছরের চেয়ে বেশি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনোই এক বছরে এই পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি।
বর্তমানে এক কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। দেশের জিডিপিতে তাঁদের পাঠানো অর্থের অবদান ১২ শতাংশের মতো যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।