প্রচ্ছদ বিদ্যুৎ ও জ্বালানী তেল-গ্যাস তেলের দাম বছরের শুরুতেই আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী

তেলের দাম বছরের শুরুতেই আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী

0
তেলের দাম

তেলের দাম নতুন বছরের শুরুতেই আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী। বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের বিস্তার এবং দেশে দেশে বিধিনিষেধ ফেরা সত্ত্বেও ২০২২ সালে বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা বাড়ার বিষয়ে আশাবাদী বিনিয়োগকারীরা। প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি আগেরগুলোর তুলনায় কম প্রাণঘাতী দেখা যাওয়ায় এ বছর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি বাড়বে বলে আশায় বুক বাঁধছেন ব্যবসায়ীরা।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্ক ব্রেন্টের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ২ শতাংশ বা ৯৫ সেন্ট। এদিন বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড অয়েল বিক্রি হয়েছে ৭৮ দশমিক ৭৩ ডলারে।

দাম বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট বা ডব্লিউটিআই তেলেরও। সোমবার ব্যারেলপ্রতি ডব্লিউটিআইয়ের দাম ১ দশমিক ৪ শতাংশ বা ১ দশমিক ০৩ ডলার বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৭৬ দশমিক ২৪ ডলারে।

এ বিষয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেলের ব্রোকার পিভিএমের টামাস ভার্গা বলেন, বিশ্বব্যাপী সংক্রমণের হার বাড়ছে, কয়েকটি দেশে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। এতে অন্যদের মতো আকাশভ্রমণ খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরপরও আশাবাদী বিনিয়োগকারীরা।

তিনি বলেন, মনে হচ্ছে, করোনার বর্তমান ধরনটি (ওমিক্রন) তার পূর্বসূরীদের তুলনায় কম গুরুতর উপসর্গ তৈরি করে, যা মহামারির চতুর্থ ঢেউ সামলাতে আমাদের সাহায্য করতে পারে।

রয়টার্সের তথ্যমতে, করোনাভাইরাস মহামারির আঘাত থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা এবং ওপেক প্লাস জোটের তেল সরবরাহ কমানোর প্রভাবে গত বছর ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের চাহিদা অন্তত ৫০ শতাংশ বেড়েছিল। বিশ্বজুড়ে ভাইরাসের সংক্রমণ নতুন রেকর্ড গড়লেও তেলের চাহিদাবৃদ্ধির গতি ঠেকাতে পারেনি। ২০২২ সালে এর চাহিদা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

বহুজাতিক ব্যাংক ইউবিএসের বিশ্লেষকদের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন বলছে, বৈশ্বিক তেলের চাহিদা ২০১৯ সালের মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে চলেছে। ক্রুড এবং তেল জাতীয় পণ্যের দামে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়া উচিত। আমরা আশা করছি, ২০২২ সালে ব্রেন্টের দাম বেড়ে ৮০ থেকে ৯০ ডলারের মধ্যে থাকবে।

বিশ্বজুড়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ প্রায় প্রতিদিনই নতুন রেকর্ড গড়ছে। এতে ইংরেজি নতুন বছর উদযাপনের আনন্দ অনেকটাই ম্লান ছিল। গত রোববার (২ ডিসেম্বর) চার হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এর মধ্যেই তেল উৎপাদন দৈনিক দুই লাখ ব্যারেল কমিয়ে দিচ্ছে লিবিয়া। পাইপলাইন সংস্কারের জন্য অন্তত এক সপ্তাহ সীমিত উৎপাদনে থাকবে তারা।

এ অবস্থায় আগামী মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) ফের বৈঠকে বসছে তেল রপ্তানিকারকদের জোট ও এর মিত্র দেশগুলো (ওপেক প্লাস)। তাদের নীতিনির্ধারণী ওই বৈঠকের আগে ওপেক প্লাসের একটি প্রতিবেদন হাতে পেয়েছে রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে ওমিক্রনের প্রভাব মৃদু এবং ক্ষণস্থায়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুনঃ

কোন মন্তব্য নেই

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

Exit mobile version