বাংলাদেশের অর্থনীতিতে টেকসই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এইচএসবিসি বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ৯ প্রতিষ্ঠান। দি হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এইচএসবিসি) বাংলাদেশের দ্বিতীয় আয়োজনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়। রবিবার ঢাকার হোটেল র্যাডিসনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
সনাতন ও উদীয়মান ক্ষেত্রে অবদান ও পণ্য রপ্তানি করে বার্ষিক ৩ ডলারের বেশি আয় করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখায় এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির হাত থেকে অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির বিপণন বিভাগের পরিচালক চৌধুরী কামরুজ্জামান কামাল উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন: প্যাসিফিক জিন্স, এনভয় টেক্সটাইল, হাতিল কমপ্লেক্স, সামিট করপোরেশন, মালেক স্পিনিং গ্রুপ ও সিটি গ্রুপ। এছাড়া করোনাকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় আইসিটি ডিভিশনের সুরক্ষা অ্যাপকে দেওয়া হয়েছে জুরি অ্যাওয়ার্ড।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, করোনা মহামারির শুরুতে দেশব্যাপী লকডাউন এবং বাণিজ্য সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধের কারণে আমরা ব্যবসা হারানোর প্রচণ্ড চাপের মুখোমুখি হয়েছিলাম। সহনশীলতা ও দৃঢ় মনোবলের মাধ্যমে এ প্রতিকূল পরিবেশকে মোকাবিলা করেছি। আমরা ব্যবসা সহজীকরণ নীতি বাস্তবায়নে করেছি, যাতে কোম্পানিগুলো সহজেই করোনা প্রতিষেধক এবং অন্যান্য সুরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি আমদানি করতে পারে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, অতিমারির মধ্যেও যেসব দেশের অর্থনীতি এগিয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের যে অর্জন করেছে তা এক কথায় অসাধারণ। ১৯৭১ সাল থেকে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের উন্নয়নের সারথি।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তা মহামারি চলাকালীন সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে নিরলসভাবে কাজ করেছে। এই অধ্যবসায় এবং কঠোর পরিশ্রমের জন্য তাদের স্বীকৃতি দিয়ে উৎসাহিত করতে পেরে তারা গর্বিত।
বাণিজ্যমন্ত্রী ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিরেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারসন ডিক্সন, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, এইচএসবিসি, সাউথ ও সাউথ ইস্ট এশিয়ার হেড অফ কমাশির্য়াল ব্যাংকিং এ্যামান্ডা মারফি, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান, এইচএসবিসি বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড অফ হোলসেল ব্যাংকিং কেভিন গ্রীণ।