দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণে এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছিল গত ১৭ এপ্রিল। সেদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিনে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টার হিসাবে ১৫ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়। এরপর প্রতিদিন ১-১০ জনের মধ্যেই ছিল মৃতের সংখ্যা। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যা আবার উঠে যায় ১৩ জনে, যা এক দিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। যদিও গতকালের বুলেটিনে আগের ২৪ ঘণ্টার তথ্য অনুসারে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা কিছুটা কমে নেমে এসেছে ৭০৬ জনে।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তকৃত সংখ্যা ছিল ৭৯০ জন। আর মৃত্যু ছিল তিনজনের। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত দেশে মোট এক লাখ পাঁচ হাজার ৫১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৪২৫ জনের। এর মধ্যে মারা গেছে ১৯৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে এক হাজার ৯১০ জন। এর মধ্যে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১৩০ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে দেওয়া বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৩ জনের মধ্যে পুরুষ আটজন ও নারী পাঁচজন। তাদের মধ্যে ঢাকার ভেতর (শহরে) ছয়জন, ঢাকা বিভাগের অন্যান্য এলাকায় তিনজন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে চারজন। ছয়জনের বয়স ষাটোর্ধ্ব, চারজন ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, দুজন ৪১-৫০ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া একজনের বয়স ১১-২০ এর মধ্যে, যিনি ক্যান্সারেও আক্রান্ত ছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, ৩৩টি পরীক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র কভিড-১৯ শনাক্ত পরীক্ষা শুরু করেছে। তিনি বলেন, কভিড-১৯ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যেতে হলে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করা, ২০ সেকেন্ড সময় ধরে সাবান পানি দিয়ে বারবার হাত ধোয়া এবং কোয়ারেন্টিনের শর্ত মেনে চলা। এদিকে আইইডিসিআরের তথ্য অনুসারে দেশে যে ১৯৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে তার মধ্যে ১০০ জনের বেশি মারা গেছে ঢাকায়। এর পরই নারায়ণগঞ্জে মারা গেছেন ৪০ জনের বেশি। অন্যরা দেশের বিভিন্ন এলাকার।