নভেম্বর মাসেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ইঙ্গিত দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা যখন মনে করব যে, আমাদের শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই বা খুবই সামান্য সে রকম একটা অবস্থায় আমরা খুলতে পারব।
মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষার বিষয়ে বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনাদের কী মনে হয়? এখন পর্যন্ত যে অবস্থা তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান… যেখানে যেখানে খুলেছিল অধিকাংশ জায়গায় সেখানে বন্ধ করার পর্যায়ে আছে। যেহেতু শীতকাল নিয়ে একটা দুশ্চিন্তা আছে সব জায়গায়, বিশেষজ্ঞ মহলও বলছে। সে কারণে আমাদের কোভিডবিষয়ক যে জাতীয় পরামর্শক কমিটি রয়েছে আমরা তাদের সাথেও আলাপ-আলোচনা করব।
তিনি বলেন, আমরা যখন মনে করব যে আমাদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই বা খুবই সামান্য, হয়তো বা যে রিস্কটুকু নেওয়া সম্ভব, সে রকম একটা অবস্থায় যদি যায়, তখন আমরা খুলতে পারব। সেটি কবে হবে সেটি আমাদের করও পক্ষেই এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার পর গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে কওমি মাদ্রাসা ছাড়া অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে।
প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের কারণে এবার পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা যে হবে না, সে কথা সরকার আগেই জানিয়েছিল। আর এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলের ভিত্তিতে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা হবে বলেও ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে।
বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, মাধ্যমিক স্তরে ষ্ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও এবার হবে না। পরীক্ষা ছাড়াই সব শিক্ষার্থীকে পরের শ্রেণিতে তোলা হবে।
শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণের জন্য ৩০ দিনের একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করে শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে, তার ভিত্তিতে তাদের মূল্যায়নও হবে। তবে সেই মূল্যায়নের প্রভাব তাদের পরবর্তী শ্রেণিতে ওঠার ক্ষেত্রে পড়বে না।