দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ১৫ দিন পর এসএসসির ফল ঘোষণা করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি ১৫ দিনের সময় দিয়ে শুরু করা যাবে এইচএসসি পরীক্ষা। দেশে সীমিত পর্যায়ে গণপরিবহন চালু হলেই এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল তৈরি এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রুটিন প্রণয়নের কাজ শুরু করা হবে।
মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেনের সঙ্গে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আলোচনায় উঠে আসে এসব মতামত। সকাল ১০টায় ভিডিও কনফারেন্সে এ আলোচনা শুরু হয়। এতে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম এবং চলতি ছুটির কারণে লেখাপড়ার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিভিন্ন ধরনের নির্ধারিত ঐচ্ছিক ছুটি কমানোর বিষয়েও আলোচনা হয়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষাসচিব মাহবুব হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা এবং অন্যান্য বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে মতামত নিতে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা মতামত দিয়েছেন। এখন শিক্ষামন্ত্রী ও উপমন্ত্রী এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিবের সঙ্গে আলোচনা শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
এদিকে কয়েকটি বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, কোনো কিছুর ব্যাপারেই সুনির্দিষ্ট তারিখ বা দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। কেননা এখনও করোনা পরিস্থিতি অব্যাহত আছে এবং কবে নাগাদ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটে- তা কেউ বলতে পারছেন না। তবে মে মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহের দিকে এসএসসি পরীক্ষার ফল আর শেষের দিকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিকের ঘোষণা এলে এসএসসি পরীক্ষার ফল, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময়সূচি ও এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর তারিখ ঘোষণা করা হবে। আলোচনায় করোনা পরিস্থিতির কারণে এক মাসের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করার প্রস্তাব এসেছে। বিদ্যমান রুটিনে প্রায় দেড় মাস ধরে এই পরীক্ষা নেয়ার সূচি ছিল। পাশাপাশি এই পরীক্ষার ফল জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণার আলোচনাও এসেছে। এছাড়া জেএসসি পরীক্ষা ১ নভেম্বর থেকে শুরু ৩০ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণার সিদ্ধান্ত বহাল রাখার আলোচনাও হয়েছে। তবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে আলোচনা শেষে এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।
উল্লেখ্য, এইচএসসি পরীক্ষা ২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। আর সিদ্ধান্ত ছিল এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে। ৫ মার্চ এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সেই হিসাবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশ হবে- এমন প্রস্তুতি ছিল দেশের সবগুলো বোর্ডে। কিন্তু করোনার কারণেই সবই আটকে গেছে। করোনার দুর্যোগের কারণে সব কার্যক্রমই পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।