রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ইবনে সিনা হাসপাতালের চার কর্মককর্তার বিরুদ্ধে ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছেন এক আইনজীবী। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম দিদার হোসেনের আদালতে মামলাটি করেন ঢাকা বারের আইনজীবী রমজান আলী সরকার।
মামলায় ইবনে সিনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, ইবনে সিনা হাসপাতালের চেয়ারম্যান, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেমাটোলজিস্ট কনসালট্যান্ট প্রফেসর কর্নেল (অব) মো. মনিরুজ্জামানকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।
মামলার বিবরনীতে বলা হয়েছে, ২৫ জুলাই বাদী জ্বর নিয়ে ইবনে সিনা হাসপাতালের ধানমন্ডি শাখায় যান। আউটডোরে পরামর্শ করলে তারা এনএস-ওয়ান, এজি এবং সিবিসি পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। এর পর তিনি পরীক্ষা করেন। ২৬ জুলাই রিপোর্টে দেখেন রক্তে প্ল্যাটিলেট লেভেল ৭ লাখ ৮৪ হাজার সিএমএম। রিপোর্ট দেখে বাদী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ওই দিনই তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে একই পরীক্ষা করান। সেখানে রক্তের প্ল্যাটিলেট লেভেল আসে ২ লাখ সিএমএম।
একজন সুস্থ মানুষের রক্তের প্ল্যাটিলেট লেভেল দেড় লাখ থেকে সাড়ে ৪ চার লাখ থাকে। কিন্তু ইবনে সিনার ডায়াগনস্টিক সেন্টার রক্তের প্ল্যাটিলেট লেভেল আসে ৭ লাখ ৮৪ হাজার সিএমএম, যা কোনো সুস্থ বা অসুস্থ মানুষের ক্ষেত্রেই হতে পারে না।
আইনজীবী রমজান আলী সরদার বলেন, দেশে ডেঙ্গু জ্বরের পরিস্থিতি নাজুক। মানুষের অসুস্থতাকে পুঁজিকরে ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টার ও প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ভুল রিপোর্ট প্রদান করে। তাই বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৬৯/২৭০/৪০৬ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করছি।