বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। পিডিবি পাইকারি বিদ্যুতের দাম ২৩.২৭ ভাগ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। অপরদিকে বিইআরসি এর কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি দাম ১৯.৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মনে করছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) অডিটোরিয়ামে পিডিবির প্রস্তাবিত পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের মধ্য দিয়ে এই শুনানি শুরু হয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য এই গণশুনানির আয়োজন করছে বিইআরসি কর্তপক্ষ। পিডিবির পক্ষ থেকে দাম প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন পিডিবির জেনারেল ম্যানেজার কাউসার আমীর আলী।
অন্যদিকে, মূল্যায়ন কমিটির পক্ষে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন কমিশনের উপপরিচালক (ট্যারিফ) মো. কামরুজ্জামান। শুনানিতে কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, কমিশনের সদস্য মিজানুর রহমান, সদস্য আব্দুল আজিজ, সদস্য রহমান মুরশেদ, সদস্য মাহমুদউল হক ভূইয়া উপস্থিত আছেন।
গণশুনানিতে বিএনপি, গনসংহতি আন্দোলনসহ দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি এবং কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের প্রতিনিধি উপস্থিত আছেন।
দুপুর ১টা পর্যন্ত পিডিবি প্রস্তাবিত পাইকারি মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর গণশুনানি হয়। এরপর দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রস্তাবিত সঞ্চালন মূল্যহার পরিবর্তন নিয়ে শুণানি হবে।
আগামী রবিবার (১ ডিসেম্বর) থেকে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর জন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবিত দামের ওপর শুনানি শুরু হবে।
১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শুরু হবে পিডিবির গ্রাহক পর্যায়ের মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর শুনানি। একই দিন দুপুর ২টায় শুরু হবে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) শুনানি।
২ ডিসেম্বর সকালে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) এবং দুপুরে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) শুনানি।
এরপর ৩ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) এবং দুপুরে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) গ্রাহক পর্যায়ের মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর গণশুনানি হবে
এদিকে, দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় টিসিবি ভবনের বাইরে গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখা যায়।